দলীয় সূত্র মতে, মাঠ পর্যায়ের জরিপ, অসন্তোষ এবং রাজনৈতিক সমীকরণ বিবেচনায় এই রদবদল আনা হয়েছে যাতে ‘ধানের শীষের বিজয়’ নিশ্চিত করা যায়। কিছু কিছু আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র নেতাদের আসনে বিকল্প প্রার্থীরাও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বগুড়া-৬ (সদর) এবং ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) আসনে নির্বাচন করবেন। ঢাকা-১৭ আসনের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, যিনি তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। আগের ঘোষিত জোটপ্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থ এবার ভোলা সদর আসনে লড়বেন। মনোনয়ন পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন এসেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে। ঢাকা-১২ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাইফুল আলম নীরবের পরিবর্তে যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, যিনি ‘কোদাল’ প্রতীকে লড়বেন। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ব্যবসায়ী মো. মাসুদুজ্জামানের ভোটের অনীহার পর সাবেক মহানগর সভাপতি আবুল কালামকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে রাউজান (চট্টগ্রাম-৬) আসনে ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবর্তে গোলাম আকবর খন্দকারকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। গত সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গিয়াসউদ্দিনের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান পদ স্থগিত করা হয়েছে এবং গোলাম আকবরের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে। তারেক রহমানের সাম্প্রতিক মতবিনিময় সভায় গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ডাকা হয়নি বলেও দলীয় সূত্র জানায়। এসব পরিবর্তন বিএনপির নির্বাচনী কৌশলকে আরো শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।