চলতি বছরে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অবস্থাকে স্বস্তিতে এনেছে। ব্যাংকিং খাতে অতিরিক্ত ডলার জমা হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং মুদ্রার যোগান-চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে ডলার ক্রয় করছে। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি তিনটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে মোট ১১ কোটি ডলার কেনা হয়েছে, যার এক্সচেঞ্জ রেট ছিল প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৩০ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ডিসেম্বর মাসে ৯২ কোটি ডলার ক্রয় করা হয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত মোট ডলার কেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন বা প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স আয়ও গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে এসেছে ২১৭ কোটি ২১ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে পাওয়া ১৯৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারের থেকে প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ বেশি। এছাড়া চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ, যা ১ হাজার ৫২১ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ, প্রণোদনা এবং উন্নত ব্যাংকিং চ্যানেলের কারণে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। গত নভেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মোট ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যার মূল্যায়ন দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। এসব প্রবাহ দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।