দেশকে অস্থিতিশীল করে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিপাকে না ফেলার আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন শতাধিক আলেম।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে দুটি ভুঁইফোড় রাজনীতিক দল দেশে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক ভ্রাতৃঘাতি রক্তক্ষয়ী ভয়াবহ সংঘাত তৈরি করে এ সরকারের চলমান সকল অর্জনকে ম্লান করে দিতে চায়। দেশকে জঙ্গি ও উগ্রবাদী পথে ঠেলে দিতে এরা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তাদের এই ভয়াবহ ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে এই পরিস্থিতি শামাল দেওয়া হয়তো কঠিন হবে।
তারা বলেন, এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, ধর্মীয় ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ, সচেতন নাগরিক, ধর্মপ্রান মুসল্লিদেরকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। বিভক্ত জাতি কখনো রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর নয়। আগামীর বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে, বিশেষ করে ইসলামি শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সচেতন আলেম উলামাদের সজাগ ও সতর্ক হতে হবে। বিভক্ত জাতি কখনো রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর নয়। আগামীর বাংলাদেশ গঠনে সকল ইসলামি শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এসব উলামায়ে কেরাম।
তারা আরও বলেন, আগামী ৫ নভেম্বর সোওরাওয়ার্দী উদ্যানে হঠাৎ করে তাবলীগ জামাত একাংশের বিরুদ্ধে গুটি কয়েক রাজনৈতিক নেতারা দেশের সকল মাদরাসা বন্ধ করে কোমলমতি ছাত্রদের দিয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। এরাই ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের আগ্রাসনের সময় স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনকে দমানোর জন্য শান্তি বৈঠক করেছিলেন। তারাই আবার এই সরকারকে অস্থিতিশীল করতে মড়িয়া হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক ক্ষুদ্র ফায়দা হাসিলের অভিলাষ থেকে মাদরাসার ছাত্রদের দিয়ে জনবিচ্ছিন্ন ও অস্তিত্বহীন এই দলের নেতার বিশ্ব ইজতেমার মতো গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনকে ঘিরে হীন চক্রান্ত করে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান, যা দেশের ধর্মপ্রান তাওহীদি জনতা ও সাধারণ মুসল্লিরা কখনো বরদাশত করবে না। তাদের এই উগ্র পন্থা বন্ধ না হলে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের দাবানাল সারা দেশে ছড়িয়ে পরতে পারে।
নেতৃবৃন্দ আহ্বান করেন, এ সংঘাত ও ধর্মীয় উসকানির পথ পরিহার করে আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ শান্তির সমাজ কায়েম করি।
বিবৃতিদাতারা হলেন, দেশের শীর্ষ আলেমে দ্বীন মুফতী আল্লামা ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী বসন্ধুরা, মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ, মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ। মাওলানা শেখ আবদুল্লাহ মনসুর কাসেমী, শায়খুল হাদীস আল্লামা আনোয়ারুল আলম জাফর কাসেমী, প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম, মাদরাসা বাকিয়াতুস সালিহাত, সৈয়দপুর। মাওলানা ইবরাহীম শিলাস্থানী, মুহতামিম, মারকাযুল ফিকহিল ইসলামি, উত্তরা ঢাকা, বিশিষ্ট মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল হক ইসলামপুরী, প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম মাদরাসায়ে হামিউস সুন্নাহ হবিগঞ্জ। মুফতী মুহাম্মদ আলী (খ্যাতিমান আলেমেদ্বীন ভোলা) শায়খুল হাদীস মুফতী নুরুল ইসলাম কাসেমী, নোয়াখালী। শয়খুল হাদীস মাওলানা হুসাইন আহমদ রংপুর, হাফেজ ওজিউল্লাহ বগুড়া মাওলানা আনাস বিন মুজাম্মেল।
জতীয় কওমী মাদরাসার শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা জিয়া বিন কাসেম, মহাসচিব মুফতী সৈয়দ উসামা ইসলাম, মুফতী আজীমুদ্দীন, মাওলানা সাইফুল্লাহ বিন নূরী, জামিয়া কাশিফুল উলুম ঢাকার মুহতামিল, লেখক ও গবেষক মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ, দারুল উলুম হমিউসস্সুন্নাহ ঢাকর মুহতামিম, মুফতী মু’আজ বিন নূ, মারকাজু সফফা আল ইসলামির মা পরিচালক মুফতী পীর শফীউল্লাহ মক্কী, মুফতী আরিফুর রহমান আলিফ, মাওলানা জিয়াউর রহমান লালবাগ ঢাকা, মুফতী বুরহান আহমদ ঢাকা, মুফতি সানাউল্লাহ যাত্রাবাড়ী ঢাকা, মুফতী মিজানুর রহমান উত্তরা ঢাকা, মাওলানা ফজলুল জক ঢাকা, সৈয়দ জাবের কাসেমী ঢাকা, মাওলানা মাহদী বনশ্রী ঢাকা, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ঢাকা, মাওলানা আবদুল্লাহ ভাড়ালিয়া, মাওলানা আজিজুল হক সেলিম মিরপুর, মুফতী ড. বশির উল্লাহ মানিকগঞ্জ, মাওলানা মোস্তাফা টাঙ্গাইল, মুফতী নিজামুদ্দীন বখশি টাঙ্গাইল, মাওলানা আনোয়ার ফরীদপুর, মাওলানা আমীনুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ, মাওলানা আশরাফ কিশোরগঞ্জ, মাওলানা শরীফ আহমদ রাজবাড়ি, মাওলানা নূরুল হক নারায়নগঞ্জ, মাওলানা ফুরকান নারায়নগঞ্জ, মাওলানা নূরুল আফসার, লালখান বাজার, চট্টগ্রাম, মুফতি ইয়াহইয়া মাহমুদ, কুমিল্লা, মাওলানা আযীযুল করীম, চট্টগ্রাম, মাওলানা সা’দ বিন মুজাম্মিল চকরিয়া, কক্সবাজার, মুফতি সালাহুদ্দীন, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম, মুফতি মুহিব্বুল্লাহ, খাগড়াছড়ি, মাওলানা রেদওয়ান, কক্সবাজার, মাওলানা আবদুল্লাহ, চাঁদপুর, মাওলানা আবদুল আজীজ, চট্টগ্রাম, নাসিম সাহেব, চট্টগ্রাম, মুফতী এনায়তুল্লাহ কক্সবাজার, মাওলানা মামুন, বরিশাল, মাওলানা হাবীবুল্লাহ, বরিশাল, মাওলানা জাবের, ভোলা, মাওলানাা মাসঊদুর রহমান, পটুয়াখালী, মাওলানা আবু সালেহ, ঝালকাঠি, মাওলানা রেজাউল হক, পিরোজপুর, প্রফেসর শাহ আলম বরিশাল, মুফতি মাহমূদ হাসান, বরিশাল, আবদুল হাই সাহেব, পটুয়াখালী, শহীদুল ইসলাম, বরিশাল, মাওলানা আবু সালেহ ঝালকাঠি, মাওলানা রেজাউল হক পিরোজপুর, মুফতি মাহমুদুল হাসান বরিশাল, মাওলানা মুজাহিদ রংপুর
মাওলানা মাজহার সাহেব রংপুর, মাওলানা ইউসুফ রংপুর, মাওলানা জিয়াউর রহমান নিলফামারীর, মাওলানা মুফতি তোফায়েল আহমাদ দিনাজপুর, মুফতি হেলাল আহমাদ কুড়িগ্রাম, মুফতি আমিনুল ইসলাম লালমনিরহাট, মো. ফিরোজ আহমাদ, মুফতি লুতফুর রহমান পঞ্চগড়, মুফতি ইয়াসিন আরাফাত, মাওলানা আব্দুর রহমান যশোর, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ খুলনা, মাওলানা মুনীরুজ্জামান কুষ্টিয়া, মাওলানা মাকসুদুর রহমান বাগেরহাট, মুফতি ওসমানগনি বাগেরহাট, এডভোকেট আকিদ নড়াইল, মুফতি আব্দুল্লাহ চুয়াডাঙ্গা, মাওলানা জসিম আহমাদ ঝিনাইদহ, মাওলানা আবু হুরাইরা মাগুড়া, এডভোকেট আতিকুর রহমান কুষ্টিয়া, মোহাম্মাদ রাজু আহমাদ, মাওলানা আসিফ ময়মনসিংহ।
এ ছাড়াও রয়েছেন মাওলানা আমিনুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ, মাওলানা লুতফর রহমান জামাপুর, হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমান মুক্তাগাছা, মোহাম্মাদ ওমর ফারুক ভালুকা, মোহাম্মাদ ফারুক শেরপুর, মাওলানা মুশফিকুর রহমান ময়মনসিংহ, মাওলানা আব্দুল করিম সিলেট, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস সিলেট, মাওলানা আব্দুর রহমান হবিগঞ্জ, মাওলানা ইকবাল সিলেট, মাওলানা মুকাদ্দাস সিলেট, মাওলানা সুলাইমান সুনামগঞ্জ, মাওলানা যাকারিয়া সুনামগঞ্জ, মাওলানা সুফয়ান আহমদ মৌলভীবাজার, মাওলানা তামিম আহমদ মৌলভীবাজার, মাওলানা নজরুল ইসলাম সুনামগঞ্জ, মুফতি আসআদ সিলেট, মাওলানা মোহিসন বগুড়া, মাওলানা জাহিদ রাজশাহী, মাওলানা ইদ্রিস নাটোর, মুফতি কেফায়তুল্লাহ বগুড়া, মাওলানা আব্দুল্লাহ রাজশাহী, মাওলানা মোস্তফা পাবনা, মাওলানা নুরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ, মাওলানা মামুন বগুড়া, মাওলানা রেজাউল করিম বগুড়া, মাওলানা মুজাহিদ জয়পুরহাট, মাওলানা আব্দুল কাদির পাবনা প্রমুখ সারাদেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামগণ।