যুক্তরাষ্ট্র ও জর্জিয়া বিএনপির উদ্যোগে পালিত হলো ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব এবং সংহতি দিবস। দিবসটি উপলক্ষে আটলান্টার একটি স্থানীয় রেস্তোরার হলরুমে যুক্তরাষ্ট্র-জর্জিয়া বিএনপির আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জর্জিয়া বিএনপির সভাপতি জনাব নাহিদুল খান সাহেল এবং সঞ্চালনা করেন জর্জিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জনাব মো: মামুন শরীফ (আমজাদ)। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জর্জিয়া বিএনপি’র প্রধান উপদেষ্টা জনাব আলহাজ্ব শুক্কুর মিন্টু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিউক খান(উপদেষ্টা, জর্জিয়া বিএনপি) এবং রফিক হক (উপদেষ্টা, জর্জিয়া বিএনপি)। অতিথি বক্তা জনাব ইসমাইল চৌধুরী (সবুর) এবং জর্জিয়া বিএনপির সিনিওর সহ সভাপতি জনাব মোহাম্মদ আলী খান (লদী)। আরো উপস্থিত ছিলেন অন্যতম উপদেষ্টা জনাব রফিক হক। আরো বক্তব্য রাখেন জর্জিয়া বিএনপির অন্যতম সহ সভাপতি আলী আলম সোহাগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রহমান আজাদ, অন্যতম সিনিওর সদস্য মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম ঠান্ডু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমেদ রাহী, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ তুহিন খান, মানবাধিকার সম্পাদক মোহাম্মদ আবু খালেদ, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ নুর ভূইয়া প্রমুখ। আরো উপস্থিত ছিলেন জর্জিয়া বিএনপির সহ সভাপতি যথাক্রমে শেখ ফয়সাল জুয়েল, আজিজুল হাকিম, মোহাম্মদ আরিফুর রহমান এবং অন্যান্য সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে শামন তৌফিক, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ হোসেন, তামিম মতিন, আসাদুজ্জামান টুটুল, আতিক মাসুদ রহমান, এস এম রেজাউল হক, সোহেল সারওয়ার মুন্না, মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, রেজাউল হায়দার বাবু, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং অন্যান্য অনেকে।
সভাপতির বক্তব্যে জর্জিয়া বিএনপির সভাপতি জনাব নাহিদুল খান সাহেল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্র এবং রাজনৈতিক দর্শন বিষয়ে বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের বহুদিনীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ছিলেন এবং একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তৎকালীন সময়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল কাঠামো দাঁড় করিয়েছিলেন গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠা এবং ফরেন কারেন্সি বা রেমিটেন্স প্রক্রিয়া চালুর মাধ্যমে”
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের সিপাহী এবং জনতা বিপ্লবের পর বাংলাদেশের যে ভয়াবহ অবস্থা ছিল সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে উত্তোরন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার কিছু মৌলিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে। ১৯৭৮ সালে জার্মানির বন শহরে অনুষ্ঠিত টেক্সটাইল এক্সিবিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের প্রথম ব্যবসায়িক অর্ডার হিসেবে ৬ মিলিয়ন ডলার এনে দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং এরই ফলশ্রুতিতে আজ টেক্সটাইল সেক্টর পরিনত হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস এবং ১৯৭৮ সালেই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষে দক্ষ কর্মঠ শ্রমজীবীবের বিদেশে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দেন সৌদি সরকারের মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে প্রবাসী আয় হয়ে উঠে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বাংলাদেশের প্রথম বৃহত্তম উৎস হিসেবে।
তিনি আরো বলেন, “খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার পরিবারকে বিক্রি করে বাংলাদেশের জনগনের সাথে এক ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং রাজনীতিতে এ যুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে বাস্তবে জিয়াউর রহমানের পরিবারকে সবচেয়ে নির্যাতিত পরিবার হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি”।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক জনাব তারেক রহমানের পক্ষে ১৩ জুলাইয়ে প্রদানকৃত রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফার বিষয়ে এবং বিএনপির মূল ম্যানিফেস্ট ১৯ দফা দিয়ে একটি সুস্পষ্ট আলোচনা করেছেন।
ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল, যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পালটে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান ও পালটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যখন চরম নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন সিপাহি-জনতার মিলিত ঐক্যের বিপ্লব দেশ ও জাতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছিল। অভূতপূর্ব সেই বিপ্লব-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন স্বাধীনতার ঘোষক তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং গুরুতর অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়ার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।