মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়াসহ ৮ দফা বাস্তবায়নে প্রস্তাব দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা ও গবেষণামূলক সংগঠক মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস। বুধবার (২৮ আগস্ট) ই-মেইলে এ চিঠি পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ ও যুগ্ম-আহ্বায়ক এনায়েত উল্লাহ কৌশিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ২০ দিন পার হলেও মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সংস্কার, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনে কোনো এজেন্ডা ঘোষণা করা হয়নি। প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্ব নেওয়ার ১৮ দিন পর জাতির সামনে প্রথম ভাষণ দেন। তাতে অনেক কিছুই উঠে এসেছে। তবে অনেক বিষয় অস্পষ্ট রয়ে গেছে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
কিছু প্রত্যাশা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বিশেষ করে রাষ্ট্রের মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সংস্কার, জাতীয় নির্বাচন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তি এবং পরিবারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। কিছু সংস্কার কাজ শুরু করার কথা উল্লেখ করা হলেও কাজগুলো কী কী, তা স্পষ্ট করা হয়নি। তারা বিশ্বাস করে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন থেকে এসব বিষয়ে জাতির কল্যাণে কাজ শুরু করা হবে।
১. মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সংস্কার, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনে কার্যক্রম শুরু করা। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থীসমাজ, সংগঠন, সংস্থা ও জনসাধারণের লিখিত ও আলোচনাভিত্তিক মতামত গ্রহণ করা।
২. প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে একটি করে নতুন মেইল খুলে সেখানে বিজ্ঞাপন আকারে মতামত আহ্বান করা দরকার। তাতে প্রত্যেকেই নিজ নিজ পূর্ণাঙ্গ পরিচয় বা নাম না প্রকাশ সাপেক্ষে মতামত দেবেন। একটি কমিটি সেগুলো সমন্বয় করবে।
৩. প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ে তিনদিন অন্তর করে ৪০টি মন্ত্রণালয়ে এ আলোচনার ব্যবস্থা করা।
৪. প্রত্যেক উপদেষ্টাকে দাপ্তরিক কাজের সঙ্গে সঙ্গে সভা, সেমিনার, সংগঠনের ব্যক্তিদের সময় দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া।
৫. কাজের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সর্বোচ্চ দুই বছরের মধ্যে সমাধানের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া।
৬. বিদেশে অবস্থানরত দূতাবাসগুলো যেন সঠিকভাবে কাজ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে একটি নাগরিক প্রবাসী কমিটি গঠন করা। যারা প্রবাসীদের নানা সমস্যা নিয়ে সরকারকে নিরপেক্ষ পরামর্শ দেবে।
৭. ওআইসিসহ অন্যান্য রিজিওনাল প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
৮. রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকারের পাশাপাশি আলাদাভাবে নাগরিক সেল করে সঠিক সমাধান দেওয়া।