সম্প্রতি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের নতুন দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন ইলন মাস্ক। এর মধ্যেই ইরানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার গোপন বৈঠকের খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
দুই ইরানি কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি এই খবর জানিয়েছে।
দুই ইরানি কর্মকর্তা বলেন, সোমবার জাতিসংঘের এক অধিবেশনের পর ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানির সঙ্গে একটি গোপন স্থানে বৈঠক করেছেন ইলন মাস্ক। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় স্থায়ী এই বৈঠকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমিত করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
বৈঠকের গোপনীয়তা নিয়ে সূত্রগুলো জানায়, জনসমক্ষে নীতি নিয়ে তাদের আলোচনা করার অনুমোদন নেই। তাই গোপনে এই বৈঠক করতে হয়েছে। তবে আলোচনাটি ‘ইতিবাচক’ ও ‘ফলপ্রসূ’ ছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউইয়র্ক টাইমসকে ট্রাম্পের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চেউং বলেন, ‘ব্যক্তিগত বৈঠকের বিষয়ে আমরা মন্তব্য করি না। বিশেষ করে বৈঠকটি হয়েছে কি হয়নি।’
ইলন মাস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পায়নি নিউইয়র্ক টাইমস। বৈঠকটির মাধ্যমে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার উত্তেজনা কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন ইরানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি দাবি করেন, ইলন মাস্কের পক্ষ থেকেই এই বৈঠকের অনুরোধ করা হয়েছে এবং এতে রাষ্ট্রদূত সাড়া দিয়েছেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বৈঠকে মাস্ককে তেহরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ইরাভানি। একইসঙ্গে পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য শুরুর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এ বৈঠকের বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তারা। সেখান থেকেও কোনো সাড়া পায়নি সংবাদমাধ্যমটি। বিশ্লেষকদের মতে, বৈঠকের খবর নিশ্চিত হলে তা ট্রাম্প প্রশাসনে টেসলা ও এক্সের মালিক মাস্কের অসাধারণ প্রভাব থাকার বিষয়টিও ফুটিয়ে তুলবে।
৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে প্রায় সময় মাস্কের উপস্থিত থাকার বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। ট্রাম্প নির্বাচনে জেতার পর এখন বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তার ফোনালাপেও অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে মাস্ককে।