নিরাপত্তা বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ঝটিকা অভিযান শুরু করেছে, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, গায়িকা ও অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওতে তাকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়, যা তার ভক্তদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তবে, ট্রাম্প–সমর্থকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে, তিনি সেই ভিডিওটি মুছে ফেলেন।
এখন, নতুন একটি ভিডিও পোস্ট করে সেলেনাকে খোঁচা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্য হলিউড রিপোর্টারের খবর অনুযায়ী, গত শুক্রবার ট্রাম্প দ্য হোয়াইট হাউসের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে তিন নারীর কথা শোনা যায়, যারা দাবি করেন, তাদের সন্তান অবৈধ অভিবাসীদের হাতে নিহত হয়েছে। এক নারীর কণ্ঠে শোনা যায়, “ভিডিওটি দেখার পর আমার বিশ্বাস হয়নি, কারণ, তিনি একজন অভিনেত্রী।” তিনি আরও বলেন, “আমি আমার সন্তান হারিয়েছি, যে শিশু ছিল। অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়া ব্যক্তিদের কারণে হাজারো মা সন্তানহারা হয়েছেন।”
এটি স্পষ্ট যে, ভিডিওটি সেলেনা গোমেজকে উদ্দেশ্য করে তৈরি করা হয়েছে, যদিও তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
গত সপ্তাহে, সেলেনা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমি খুবই দুঃখিত। অনেকে হামলার শিকার হচ্ছেন, শিশুরা বাদ যাচ্ছে না; আমি বুঝতে পারছি না, কী হচ্ছে। আমি খুবই দুঃখিত। যদি আমি কিছু করতে পারতাম! কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। আমি জানি না, কী করব। তবে আমি প্রতিজ্ঞা করছি, সম্ভব সবকিছু করব।”
সেলেনার এই আবেগঘন বার্তার পর, অনেকে তাকে কড়া সমালোচনার মুখে ফেলেন। কিছু মানুষ দাবি করেন, তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা উচিত। সামাজিক মাধ্যমে প্রবল সমালোচনার পর, সেলেনা ভিডিওটি মুছে ফেলেন। এর আগে, ট্রাম্পের অভিবাসননীতির বিরুদ্ধে সেলেনা কঠোর সমালোচনা করেছেন। গত বছরের অক্টোবরে ‘এমিলিয়া গোমেজ’ ছবির প্রচারের সময় ভ্যারাইটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “অবশ্যই আমি মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।”
সেলেনা গোমেজের পরিবার মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে থিতু হয়েছে। ১৯৭০ সালে তার দাদা, দাদি ও ফুফু সীমান্ত পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর টেক্সাসে বসবাস করতে শুরু করেন। এই প্রেক্ষাপটেই সেলেনার অভিবাসীদের প্রতি সহানুভূতি এবং তার বক্তব্যের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।