নতুন রাজনৈতিক দলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে বলেন, “এই স্বাধীনতা, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত, শুধুমাত্র এক সরকারের পতন ঘটিয়ে আরেকটি সরকারের প্রতিষ্ঠা করার জন্য নয়। জনগণ, যারা রাষ্ট্রের বুকে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার শিকড়ে জেঁকে বসে থাকা দেখেছে, সেই জনগণই আজ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য এই অভ্যুত্থানে সাড়া দিয়েছে।”
এটি ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারির এক গুরুত্বপূর্ণ দিন, যখন রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নাহিদ ইসলাম বলেন, “আজকের দিনটি শুধুমাত্র আমাদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির ঘোষণা করার দিন নয়, বরং এটি একটি নতুন দিগন্তের সূচনা, একটি ভবিষ্যতের বাংলাদেশের কথা বলার দিন। আজ আমরা পিছনের ইতিহাস থেকে উত্তরণ করে সামনের সম্ভাবনার কথা বলতে চাই। এই স্বপ্নের বাস্তবায়নই আমাদের আজকের উদ্দেশ্য।”
এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, “আগের সরকারের ষড়যন্ত্রগুলো একে একে ভেঙে দিয়েছি আমরা। জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান ছিল সেই ক্ষণ, যখন ছাত্র-জনতার মুখে ‘তুমি কে, আমি কে, বিকল্প, বিকল্প’—এই স্লোগানটি প্রতিধ্বনিত হয়েছিল। আজ সেই ‘বিকল্পের’ স্থান থেকেই আত্মপ্রকাশ করল নতুন রাজনৈতিক দল। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে বিভাজনমূলক রাজনীতি তৈরির যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তা এককাট্টা হয়ে আমরা ভেঙে দিয়েছি।”
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, “এখানে, এই মঞ্চ থেকে আমরা একটি শপথ নিতে চাই—বাংলাদেশ আর কখনোই বিভাজিত হবে না। এখানে ভারতপন্থী কিংবা পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির কোনো স্থান নেই। আমাদের লক্ষ্য একটাই, তা হল বাংলাদেশ এবং তার জনগণের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতি ও রাষ্ট্র গঠন করা।”
এর পর, তিনি নতুন বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, যা এই নতুন রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।