“আপা, আজকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে”—এই কথার উত্তর দিতে সময় নেননি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ঠাণ্ডা মাথায় তিনি নিজের আইনজীবীকে বলেন, “যা রিমান্ড দেয় দিক। শুনানিতে কিছু বলবি না। কিছু বলার দরকার নেই।” তার আইনজীবীও এতে সম্মতি জানিয়ে বলেছিলেন, “আপা, শুধু রিমান্ড বাতিলের আবেদন দিয়েছি, কোনো শুনানি করব না।” এমন এক দৃশ্যের মাঝে, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে রিমান্ডের বিষয়ে নিজের আইনজীবীকে নিষেধ করলেন দীপু মনি।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল, আদালত প্রাঙ্গণে এক রহস্যময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যখন দীপু মনিসহ অন্যান্য আসামিদের পুলিশ প্রহরায় আদালতে হাজির করা হয়। সকাল পৌনে ১০টায়, এক কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে, তারা ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। এরপর, যাত্রাবাড়ী থানার ওবায়দুল ইসলাম হত্যা মামলায়, দীপু মনির বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে, আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন, যা পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন ঘটায়।
এ সময়, ১০টা ২৫ মিনিটে পুলিশ প্রহরায় দীপু মনিকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। এর আগে, ১৯ আগস্ট বারিধারা এলাকা থেকে দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যা ছিল একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাদের নেতৃত্বে ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালিয়েছিল। এই হামলায় ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এরপর, মো. আলী, নিহতের স্বজন, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।