ভারত সরকারের উদ্বেগ: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। মঙ্গলবার (১৩ মে) দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্বেগ জানান। তিনি বলেন, “কোনো উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।” রণধীর জয়সওয়াল আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা যেভাবে খর্ব করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত হয়ে আসছে, তাতে ভারত স্বভাবতই উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে দ্রুত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের দাবিকে জোরালো সমর্থন জানাই।” প্রসঙ্গত, গত সোমবার বাংলাদেশ সরকার বিচারের শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ, সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর ফলে নির্বাচন কমিশনও আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে। ভারতের উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সংকট। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছে, যা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে আরও জটিল করে তুলবে। তারা আশঙ্কা করছেন যে, এই পরিস্থিতি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও বিপন্ন করতে পারে। ভারতের এই উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা ও সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে গেছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য সকল পক্ষের মধ্যে সংলাপ ও সহযোগিতা অপরিহার্য।