তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৯ রানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। ২৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে টাইগাররা ৩৯.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করতে সক্ষম হয়। মঙ্গলবার পাল্লেকেলেতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরুতে কিছুটা চাপে পড়লেও দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায়। প্রথম উইকেটের পতন হয় মাত্র এক রানে, যখন মাদুশকা আউট হন। তবে এরপর কুশল মেন্ডিস এবং পাথুম নিশাঙ্কা গড়েন ৫৬ রানের একটি সফল পার্টনারশিপ। নিশাঙ্কা ৩৫ রানে তানভীর ইসলামের বলে আউট হন। এরপর কামিন্দু মেন্ডিসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, মেহেদী হাসান মিরাজ তাকে এলবিডব্লিউ আউট করেন। শ্রীলঙ্কার স্কোর তখন ১০০ রানে ৩ উইকেট হারানো অবস্থায় ছিল, কিন্তু এখান থেকে কুশল মেন্ডিস এবং চারিথ আসালাঙ্কা দলের সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য দারুণ ব্যাটিং করেন। তারা চতুর্থ উইকেটে ১২৪ রানের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ে। কুশল মেন্ডিস তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে তার দ্বিতীয় শতক। তিনি ১১৪ বলে ১২৪ রান করেন, এবং আসালাঙ্কা ৫৮ রান করেন। বাংলাদেশের বোলাররা যদিও পরবর্তীতে ম্যাচে ফিরে আসেন। মেন্ডিস এবং আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার আর কোনো বড় জুটি গড়তে দেননি তারা। লিয়ানাগে ১২ রান, ভেল্লালাগে ৬ রান, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৮ রান, এবং চামিরা ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন। তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম ও শামীম হোসেন একটি করে উইকেট পান। এদিকে, ২৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে টাইগাররা শুরু থেকে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। ৩৯.৪ ওভারে ১৮৬ রান করে পুরো দল অলআউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করে করেন ইমন ও মিরাজ। জাকের আলী ২৭ রান, তানজীদ হাসান ১৭ রান, এবং শামীম হোসেন ১২ রান করেন। এই পরাজয়ের ফলে শ্রীলঙ্কা সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জয়ী হয়।