উত্তরণের রূপরেখা
স্বৈরশাসকের পতন ঘটেছে দেশের অর্থনৈতিক সেক্টরকে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রেখে। এখন ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। আশার কথা, দেশের অর্থনৈতিক সেক্টরের দায়িত্ব পেয়েছেন গভর্নর এবং অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে একজন প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ যাদের একজন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক সেক্টরের দায়িত্ব নেয়ার মতো এই দু’জনই সবচেয়ে যোগ্যদের অন্যতম। সাথে প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূস তো আছেনই। তারা তাদের সততা, দক্ষতা এবং সাহসের জন্য সুপরিচিত। এই তিনজনই দেশ তথা বিশ্ব অর্থনীতির সব দিকে নজর রাখেন এবং পরামর্শ দেন। বিশ্বব্যাংকের র্যাংঙ্কিয়ে ‘ডি’ মানের একজন অসৎ ও অযোগ্য অর্থনীতিবিদকে বিতাড়িত করে এমন যোগ্য, সৎ এবং সাহসী ব্যক্তিত্ব নিয়োগ দিয়ে একটি কনফিডেন্সের জায়গা তৈরি হয়েছে।
তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ : এখন সর্বপ্রথম করণীয় হলো অর্থনীতিতে অনেক দিনের পুরনো রক্তক্ষরণ বন্ধ করা। দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদরা ঠিক সে কাজটিই করছেন। প্রথমত সরকারবিহীন রাষ্ট্রের দুর্দশাগ্রস্ত ব্যাংকিং খাত থেকে টাকা তোলা শুরু করে ব্যাংকগুলোকে আরো অসুস্থ করার ভয় ছিল। ফলে প্রাথমিকভাবে টাকা তোলার লিমিট এক লাখ থেকে দুই লাখ, তিন লাখ থেকে চার লাখ করে এখন পাঁচ লাখে উত্তীর্ণ করেছেন। লুটেরাদের টাকা তোলা এবং ব্যাংক হিসাব জব্দ করে দিলেন। জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে দেশের বড় বড় প্রাইভেট করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনাদেনার জন্য তাদের নিজ নিজ ব্যাংকের ব্যালান্সশিটের কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দিলেন। সেখানে আবার অর্থনীতির ভালনারেবল জায়গা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য কৃষি খাত বা ক্ষুদ্র শিল্প খাতকে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখেন। অর্থাৎ অর্থনীতির স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক রেখে দুর্বৃত্তায়নের বড় জায়গা করপোরেট প্রতিষ্ঠানে হাত দিয়ে টাকা পাচার বন্ধ করলেন। প্রাথমিকভাবে কোনো ব্যাংকের পাঁচ কোটি টাকার উপরে পূর্ব অনুমোদিত ঋণ নিতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নেয়ার শর্ত আরোপ করলেন। পাশাপাশি কিছু কিছু জায়গায় ঋণ আপাতত বন্ধ করলেন এবং নতুন ঋণ কার্যক্রম একদম বন্ধ করে দিলেন। পুরাতন ঋণগুলো আদায় করার জন্য চাপও দিতে থাকলেন। পাশাপাশি এস আলমের দখল করা ব্যাংকগুলোর পর্ষদগুলো একে একে ভেঙে দিয়ে বিজ্ঞ-অভিজ্ঞদের নিয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নতুন পর্ষদ গঠন করে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামীতে হয়তো দেশের সরকারি ব্যাংকগুলোর পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেবে।
স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ : ব্যাংকের রক্তক্ষরণ বন্ধ করার পর স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রমের পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু কর্মসূচি ছিল। এর মধ্যে রয়েছে স্বার্থচালিত নয় তেমন অনেক কর্মসূচি যা দেশের ব্যাংকব্যবস্থার উন্নতি এবং টেকসই হওয়ার জন্য ভালো; গুরুত্ব অনুসারে ওই কর্মসূচিগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যাংকগুলোর ২০২৪ সালের নিরীক্ষাকৃত ফাইনান্সিয়াল স্টেটমেন্টের ভিত্তিতে একটি সূচক তৈরি করে তার লিক্যুইডিটি রেশিও, ক্যাপিটাল অ্যাডিকুয়েসি রেশিও, এনপিএল এবং করপোরেট গভর্নেন্সের কিছু সূচকের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোকে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা। তারপর দুর্বলতার মাত্রার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া। ব্যাংকিং সেক্টরের এ ধরনের কর্মসূচি আমরা এখন থেকেই বাস্তবায়ন শুরু করতে পারি। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে জনগণের ট্যাক্সের টাকা থেকে বরাদ্দ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। এগুলোকে সময় বেঁধে দিয়ে মানে ফিরে আসার কথা বলা এবং মানে ফিরে আসতে না পারলে বিলুপ্ত করে দেয়া, অথবা অন্য ভালো ব্যাংকের সাথে একীভূত করতে হবে। বিলুপ্তি অথবা একীভূত যা-ই করা হোক, উভয় ক্ষেত্রে ডিপোজিটরদের ভাগ্য, খেলাপি ঋণের পরিণতি নিয়ে পরিষ্কার বিধান করতে হবে। এর সাথে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের অন্যান্য যে দৃষ্টি আকর্ষণী কর্মসূচি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে দেশের স্বার্থের পরিপন্থী নয় এমন কর্মসূচি ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করতে হবে। এর জন্য ব্যাংকিং কমিশন করে ব্যাংকিং কমিশনের সুপারিশগুলো সাথে সাথেই বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ : ঋণখেলাপি হওয়া বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যাদের জামানত রয়েছে তাদের জামানত থেকে খেলাপি ঋণ সমন্বয় করা। যাদের জামানত নেই এবং অর্থ পাচার করেছে, তাদের মধ্যে যাদের ঋণের বিপরীতে যথেষ্ট জামানত নেই অথবা ফেক জামানত তাদের দেশের যে সম্পদ রয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের জব্দকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানার কী হবে এ সংক্রান্ত কোনো আইন যদি থেকে থাকে তা হলে তা বাস্তবায়ন করা। ত্রুটিপূর্ণ আইন থাকলে তা সংশোধন অথবা নতুন আইন করে সম্পদ জব্দ করতে হবে এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ঠিক করে দিতে হবে।
এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের ৮২ শতাংশ শেয়ারের মালিক অথচ ব্যাংকিং আইনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শেয়ারের মালিক হতে পারে। জোর করে ক্রয় করা তার এই শেয়ারগুলো ব্যাংকটির প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার সহজ উপায় বের করতে হবে। অন্য ব্যাংকের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যেখানে আইনগত সমস্যা রয়েছে সেখানে গ্রহণযোগ্য কর্মসূচির জন্য ব্যাংকিং কমিশনের সুপারিশ নিতে হবে। এভাবেই দীর্ঘমেয়াদের পুরো ব্যাংকিং এবং ফাইন্সিয়াল সেক্টরকে দেউলিয়াত্বের হাত থেকে বের করে আনতে হবে।
দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ অন্য ফাইন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের রেগুলেটরি বডির সহযোগিতায় অনেক লুটপাট হয়েছে যাতে সরকারেরও স্বার্থ ছিল। এখন সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান সরকারে লুটপাটে সহযোগিতা করার মতো কেউ নেই; বরং সংস্কারের জন্যই এই সরকার। সুতরাং পলাতক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং তার আগের দুর্নীতির বীজ বপনকারী গভর্নর ফজলে রাব্বির কতটা সংশ্লিষ্টতা ছিল তদন্ত করতে হবে; এর সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যেসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জড়িত ছিল তাদের চাকরিচ্যুত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আরো কেউ এদের সাথে ছিল কি না তা খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে সৎ, যোগ্য এবং সাহসী কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
একটি বিষয় এখন সবাই অবগত যে, দুর্নীতিবাজ স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য দেশের আইন, বিচার, নির্বাহী বিভাগসহ মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করেছে। পাশাপাশি সরকারের সর্বোচ্চ মহল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার বোন, ছেলে-মেয়ে, মেয়ের জামাই থেকে শুরু করে তার বৃহত্তর পরিবারের সবাই সম্পদের পাহাড় গড়েছে। তাদের এই সম্পদ জোগান দিতে গিয়ে অন্যরাও লুটপাট করেছে। এই দুর্নীতি করার জন্য, ব্যবসায়ী অঙ্গনে এস আলম, সালমান এফ রহমান, নজরুল ইসলাম এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রায় সব মন্ত্রী চরম দুর্নীতিবাজ হয়েছে। পাশাপাশি, নির্বাহী অঙ্গনে প্রাক্তন সেনাপ্রধান আজিজ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান বেনজীর, রাজস্বের মতিউর এবং সর্বশেষ ডিবির হারুনসহ সবাই টাকার পাহাড় গড়েছে। এর সাথে সরকারে অনুগত গভর্নর ফজলে রাব্বি এবং আব্দুর রউফ তালুকদার যারা সরকারের এই লুটপাটের জন্য আইন করে সহযোগিতা করেছে, এদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে; তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেন ডেপোজিটরদের স্বার্থ রক্ষার বদলে ব্যাংক মালিকদের স্বার্থ নিয়েই ব্যস্ত ছিল। বর্তমান অর্থ উপদেষ্টার মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেন ব্যাংক মালিক এবং বড় বড় ব্যবসায়ীর ক্লাবে পরিণত হয়েছে। কোভিড এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সারা বিশ্ব যেখানে সুদের হারে পরিবর্তন করেছে সেখানে বাংলাদেশে নয়ছয় সুদের হার বহাল, ডলারের দাম জোর করে ধরে রাখা ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকারান্তরে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিয়েছে।
চ্যালেঞ্জসমূহ : অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর অন্যতম হলো, সরকারের কেবল মূল প্লেয়ার বদলিয়েছে কিন্তু ওই সরকারের প্রায় সব প্লেয়ার এখনো মাঠে; পাশাপাশি তাদের কার্যক্রম, নীতি-আইন, ক‚টকৌশল কিছুই বদলায়নি। সুতরাং মূল চ্যালেঞ্জ হলো সরকারের বিপজ্জনক সব অংশীদারকে বদলে ফেলতে হবে। পাশাপাশি বিতাড়িত সরকারের নিয়ম-কানুনের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ নিয়ম, নিয়ম-কানুনের ঘাটতি ইত্যাদি দূর করতে হবে; প্রাতিষ্ঠানিক রিফর্ম করতে হবে।
দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আইনের শাসন পুনঃস্থাপন করা। আগে ছিল শাসকের আইন অর্থাৎ শাসক যে আইন করে গেছে, যেমন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন যার ভুক্তভোগী অনেকেই রয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরের দুর্নীতি, পাওয়ার সেক্টরে দুর্নীতির স্বর্গ তৈরি করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে শুরু করে তথ্য আইন যা দেশের ভালো আইনগুলোকে খারাপ করে দিয়েছে সেগুলো পাল্টাতে হবে। ব্যাংকিং সেক্টরের নিয়ম-কানুনের যে অবনতি হয়েছিল সেগুলো ঠিক করা, ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি, ঋণখেলাপি আইনের সংস্কার করা প্রয়োজন। সর্বোপরি এসব আইনের সংস্কার করতে গিয়ে আবার ভুল করার অবকাশ নেই।
রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনের চাপও একটি চ্যালেঞ্জ। তবে এখনই রাজনৈতিক মডেলে ফিরে গেলে এত রক্ত, এত প্রাণ, এত ঘাম এগুলোর সুফল পাওয়া যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করে দায়িত্ব দিয়ে দেয় তাতেই কি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না। সেটা আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর দেখেছি। নির্বাচনের বাইরে একটি গণতান্ত্রিক সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করতে হবে যেখানে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকবে। রাজনৈতিক নেতাদের জন্য একটি আচরণবিধি করতে হবে। নেতাদের কোথায়ও একটি জবাবদিহি রাখার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের একটি প্ল্যাটফর্ম থাকতে পারে যারা রাজনীতি করবে না, তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের তদারকি করতে পারবে। এদের ক্ষমতার সূত্র হবে স্ট্রিট পাওয়ার। তারা যেমন রাস্তায় জমা হয়ে শক্তি অর্জন করেছে, তারপর একটি সংগঠিত গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, এদের এই স্ট্রিট পাওয়ারটিকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে একটি ওয়াচডক হিসেবে কাজে লাগানো যায় কি না বিবেচনা করা যেতে পারে।
পরিশেষে বলতে হয়, সংস্কার হতে হবে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন এবং পাশাপাশি পুরোনো রাষ্ট্রীয় আইনের সংস্কার। ব্যাংকিং সেক্টরের ২৭ থেকে ৩০ শতাংশ অংশীদার ইসলামী ব্যাংকিংয়ের জন্য একটি আইন তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। অন্যান্য আইন প্রণয়নের জন্য জাতীয় ঐক্যের পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। দাতা সরকার এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনায় দৃঢ়তা সৃষ্টি করতে হবে। গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে স্থানীয় সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করে শক্তিশালী করতে হবে এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করতে হবে। তথ্য প্রবাহে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। অনেক আইন করলেই হবে না, আইনের প্রয়োগ এবং বাস্তবায়ন না থাকলে তা হবে অর্থহীন। এমনটি হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের সুযোগ আর নাও আসতে পারে।
লেখক : অর্থনীতিবিদ