নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ এবং সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণদের তীব্র আন্দোলনের জেরে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠেছে। আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা অলি। এখনও দেশজুড়ে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে বাংলাদেশ সরকার। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকার সঙ্গে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের নিয়মিত যোগাযোগ চলছে। হাই কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আপাতত নেপাল ভ্রমণ পরিহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপরও। সূত্র জানায়, আজ দেশে ফেরার কথা ছিল বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যদের। কিন্তু কাঠমুন্ডুর বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করায় সব ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়, ফলে তারা সেখানে আটকা পড়েছেন। শুধু খেলোয়াড়রাই নয়, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) ৫১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে নেপালে অবস্থান করছিলেন, তারাও একইভাবে আটকা পড়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সম্ভাব্য সব কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নেপাল ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। নেপালের চলমান অস্থিরতা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশের দৃষ্টিতে, এই সংকট শুধু প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও তা গুরুত্বপূর্ণ।