২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেন মোট ৬০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন প্রতিবন্ধী কোটায়—এ বছর ৫৪ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী একাদশে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক কোটায় ২ জন এবং প্রবাসী কোটায় ৪ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর রিজাউল হকের সই করা এক স্মারকের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। স্মারকে বলা হয়েছে, এই তিনটি কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনের পরিবর্তে ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করতে হবে। অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোকে নির্ধারিত তালিকা অনুসারে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজে উপস্থিত হয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ না করলে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সুযোগ হারাতে পারেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করা হয়েছে। এবারও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ পছন্দক্রমে আবেদন করার সুযোগ পেয়েছেন। তবে বিশেষ কোটার শিক্ষার্থীদের জন্য ম্যানুয়াল ভর্তি প্রক্রিয়ার নির্দেশনা আলাদাভাবে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, এবার ভর্তি ফি অঞ্চল ও কলেজভেদে ১,০০০ থেকে ৮,৫০০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, বিশেষ কোটার আওতায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ আরও সহজ এবং নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে করে প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনকারী ও প্রবাসী পরিবারের সন্তানরা শিক্ষা-জীবনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।