প্রায় চার মাস ধরে লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপার্সন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। সোমবার, ৫ মে ২০২৫ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির রাজকীয় বহরের একটি বিমান। খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জানতে পেরে কাতারের আমির এই বিশেষ বিমানটি ব্যবস্থা করেন। ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি একই বিশেষ বিমানে করেই চিকিৎসার জন্য লন্ডন গিয়েছিলেন তিনি। এবারও সেই বিমানেই দেশে ফিরছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’-তে নিয়ে যাওয়া হবে তাকে। খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি আবেগঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার মুহূর্তটি শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য নয়, বরং পুরো দেশের মানুষের জন্য একটি বিশেষ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।