বর্ণনা: দেশজুড়ে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এসব ঘটনা কেবল দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশও হতে পারে। রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, “এত বড় বড় অগ্নিকাণ্ড কীভাবে ঘটে? ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আটকে রেখেছে—এটা কি কেবল প্রশাসনিক জটিলতা, নাকি এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র রয়েছে?” তিনি আরও উল্লেখ করেন, চট্টগ্রামে আজও একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। এভাবে একের পর এক আগুনের ঘটনা নিছক কাকতালীয় নয় বরং জাতিকে ভাবিয়ে তুলছে। এসব কি নাশকতারই অংশ নয়—এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী ভারত বাংলাদেশে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ চায় না এবং সবসময় শেখ হাসিনার মতো সরকারকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারতের কূটনীতিকেরা সরাসরি হস্তক্ষেপ করে এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি করানোর চেষ্টার কথাও তুলে ধরেন তিনি, যা দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেন। রিজভী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সরকারের নির্বাচনের প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চলছে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্তকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে তার সন্দেহ। “পরপর আগুন লাগার ঘটনাগুলো কেবল দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হতে পারে, তা খতিয়ে দেখা জরুরি,” মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জুলাই সনদকে দেশের ‘ম্যাগনা কার্টা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার আহ্বানও জানান। পাশাপাশি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর মতে, দেশে গণতন্ত্রের পরিবর্তে যদি মবক্রেসি প্রতিষ্ঠা পায়, তবে গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারবে না।