ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য ইরান এক ইসরাইলি গোয়েন্দা নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির সরকার। তবে ওই গোয়েন্দাকে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
স্থানীয় পুলিশ একটি বিবৃতিতে বলেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দু’বার ইরানে ডেকে নেয়া হয়েছিল। মিশন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দেয়া হয়েছিল।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ওই ইসরাইলি নাগরিক একজন ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তুরস্কে বসবাস করতেন। সেখানে তার তুর্কি এবং ইরানি নাগরিকদের সাথে ব্যবসায়িক ও সামাজিক সম্পর্ক ছিল। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি দুই তুর্কি লোক আন্দ্রে ফারুক আসলান এবং জুনায়েদ আসলানের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে ইরানে বসবাসকারী এডি নামের একজন ধনী ব্যবসায়ীর সাথে দেখা করতে যান। এছাড়া তিনি সিরিয়ার কাছাকাছি তুর্কি শহর সামান্দগ সফর করেন। সেখানে তিনি ইরানী ব্যবসায়ীর পাঠানো দুই প্রতিনিধির সাথে দেখা করেন। সামান্দাগে সন্দেহভাজন ওই ইসরাইলি এবং ইরানিরা একটি ফোন কলে কথা বলেছিল। পরে তারা ইরান ছেড়ে যেতে পারেনি।
পরে চলতি বছরের মে মাসে সন্দেহভাজন ব্যক্তি আন্দ্রে, জুনায়েদ এবং এডির দুই প্রতিনিধির সাথে দেখা করতে তুরস্কে গিয়েছিলেন। ইরানি ব্যবসায়ী স্পষ্টতই আবার ইরান ছেড়ে তুরস্কে যেতে অক্ষমতা প্রকাশ করার পরে ওই ইসরাইলি পূর্ব তুর্কি শহর ভ্যানের কাছে একটি ল্যান্ড ক্রসিং দিয়ে ইরানে গিয়েছিলেন। পরে সেখানে তিনি এডি এবং খাজা নামের আরেক ব্যক্তির সাথে দেখা করেছিলেন। যিনি নিজেকে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য হিসেবে উপস্থাপন করেন। তদন্ত অনুসারে, ইরানে এডির বাড়িতে একটি বৈঠকের সময় সন্দেহভাজন ওই ইসরাইলি নিজেকে ইসরাইলি নাগরিক হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন।
সেই বৈঠকে এডি তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে তারা ইরানী শাসনের জন্য ইসরাইলে বিভিন্ন মিশন পরিচালনা করে। এর মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট স্থানে অর্থ বা হ্যান্ডগান পাঠানো। এছাড়া জনাকীর্ণ জনসাধারণের জায়গার ছবি তোলা এবং ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকদের হুমকি দেয়া, যারা তাদের পক্ষে কাজ করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন যে তিনি বিষয়টি ভেবে দেখবেন। পরে চলতি বছরের আগস্ট মাসে ফের ইরানে যান। তদন্ত অনুসারে, একটি ট্রাকের ভেতরে লুকিয়ে একটি ল্যান্ড ক্রসিংয়ের মাধ্যমে তাকে ইরানে পাঠানো হয়েছিল।