শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৫ অপরাহ্ন

ইলিশ দিল্লিতে ৪৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে!

bornomalanews
  • Update Time : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৪ Time View

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতাগ্রহণের পর ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এতে চলমান উৎসবে ইলিশের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ভারতীয় মাছ ব্যবসায়ীদের। তাই তারা অবৈধভাবে ইলিশ আমদানি অথবা মজুদকৃত হিমায়িত ইলিশ আকাশচুম্বী দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে কলকাতা, দিল্লি, বেঙ্গালুরুসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিকেজি ইলিশ ৪ হাজার টাকার বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে, ভোজনরসিক ভারতীয়দের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লিতে এক কেজি বাংলাদেশি ইলিশ ৩ হাজার রুপিতে (৪ হাজার ২৯৫ টাকা) বিক্রি হচ্ছে। এরপরই রেস্তোরাঁ মালিকরা তাদের উৎসবের মেনুর দাম বাড়ানোর কথা ভাবছেন, যা ভারতীয়দের কপালের চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লির সিআর পার্ক মার্কেটের এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, তিনিসহ অনেকে অবৈধভাবে ইলিশ কিনে ৩ হাজার রুপি কেজি দরে বিক্রি করছেন।আসছে দুর্গাপুজা আর ক্রেতারা ইলিশ চাইছেন। তাদের চাহিদা আমাদের পূরণ করতে হবে, বলেন ওই দোকান মালিক।কলকাতার বিখ্যাত গড়িয়াহাট বাজারের এক মাছের পাইকারি বিক্রেতাও একই সুরে বলেন, তিনি দেড় কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ২ হাজার রুপিতে বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের ইলিশের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক। নিষেধাজ্ঞার আগে কলকাতা ও দিল্লিতে টাটকা ইলিশ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হত। এখন গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে ইলিশ অবৈধভাবে ভারতে আসছে।চেন্নাইয়ের ক্লাউড কিচেন আহারের মালিক অত্রি কুমার সিনহা বলেন, ‘কাঁচা ইলিশের দাম এতটাই বেশি যে বাধ্য হয়ে এক পিস ভাপা ইলিশ (সরিষার সসে ভাপা ইলিশ) ৫০০ রুপিতে বিক্রি করছি।’

বেঙ্গালুরুর ভোজোহরি মান্নার কোরামঙ্গলা শাখার ম্যানেজার শান্তনু হালদার বলেন, ‘আমরা জাম্বো, সুপার জাম্বো এবং মিনি তিনটি আকারে একটি করে প্লেট পরিবেশন করি। নিষিদ্ধ হওয়ার পর ইলিশের দাম চরমে থাকায় বাজারের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে দাম বাড়ানো যায় কিনা তা নিয়ে আমরা এখনো চিন্তাভাবনা করছি।’

কলকাতার অভিজাত বালিগঞ্জের বাসিন্দা অমিতা মুখোপাধ্যায় সাড়ে ৩ হাজার রুপিতে (৫ হাজার টাকা) বিশাল ইলিশ ঘরে এনেছেন। তিনি বলেন, ‘কী করব? আমার পরিবার এই আবহাওয়ায় খিচুড়ি দিয়ে মচমচে ইলিশ ভাজা খেতে চায়। বাঙালি হিসেবে বর্ষার এটি একটি ভোজনরসিক আয়োজন, যা আমাদের মেনে চলতে হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 bornomalanews24.com
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102