রাশিয়ার দুই অস্ত্র ভাণ্ডারে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে এ হামলা চালানো হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ জানান, রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের তিকোরেস্ক এবং পূর্বাঞ্চলের তেভারের ওকতাব্রাস্কির অস্ত্র ভাণ্ডারে হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়ার অন্যতম বড় ও গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রভাণ্ডার ছিল তিকোরেস্ক।
এতে বলা হয়েছে, একটি ট্রেনে করে দুই হাজার টন অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে খবর পায় রাশিয়া। এর মধ্যে উত্তর কোরিয়ার সরবরাহকৃত অস্ত্রও ছিল। হামলার সময় ট্রেনটি এ অস্ত্র ভাণ্ডারে ছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের এ দাবির যথার্থতা যাচাই করতে পারেনি তারা।
ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা জানান, ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে রাশিয়ার এ অস্ত্রভাণ্ডারে হামলা চালানো হয়েছে।
এর আগে বিবিসি জানায়, তারা ইউক্রেনে নিহত ৭০ হাজার ১১২ রুশ সেনার নাম শনাক্ত করেছে। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা কিছু পরিবার নিহত স্বজনদের বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। ফলে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি। এ ছাড়া রাশিয়ার অধিকৃত নেৎস্ক ও লুহানস্কে নিহতদের নামও তালিকায় যুক্ত করা হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত সেনাদের মধ্যে ১৩ হাজার ৭৮১ স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন, যা মোট নিহত সেনার প্রায় ২০ শতাংশ। এ ছাড়া যুদ্ধে সাজা মওকুফের বিনিময়ে অনেক অপরাধীও যোগ দিয়েছেন। এর আগে এ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। বর্তমানে এ সংখ্যা ১৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাধারণ বেসামরিক সেনাসদস্যের হার ১৩ শতাংশ।
এতে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১০০ স্বেচ্ছাসেবী নিহত হয়েছেন। কোনো সপ্তাহে তা ৩১০ পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধে নিহত সেনাদের বিষয়ে খুবই কম মন্তব্য করে ইউক্রেন। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের ৩১ হাজার সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে বলে অনুমান মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের।