শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০২ অপরাহ্ন

কে এই দিসানায়েক শ্রীলঙ্কার নির্বাচনে চমকে দেওয়া

bornomalanews
  • Update Time : রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৫ Time View

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বামপন্থি নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়েক। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে এই ঘোষণা দেয় দেশটির নির্বাচন কমিশন। ২০২২ সালে গণবিক্ষোভের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে পালানোর দুই বছরেরও বেশি সময় পর নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেলো শ্রীলঙ্কা।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন দিসানায়েক। তার নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দল সঙ্গী জন বালাওয়াগার (এসজেবি) নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট। মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে।

কে এই দিসানায়েক

দিসানায়েকের উত্থানের গল্প অনেকটা রূপকথার মতো। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদদের চেয়ে নিজেকে ভিন্ন হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন বামপন্থি এই নেতা।

১৯৬৮ সালে জন্ম নেওয়া দিসানায়েক ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কার দুর্নীতি ও দুর্বল শাসনের কঠোর সমালোচক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।

১৯৯৫ সালে জনতা বিমুক্তি পুরামুনার (জেভিপি) পলিটব্যুরোতে যোগ দেন । ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৪ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত কৃষি, প্রাণীসম্পদ, ভূমি ও সেচ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রধান বিরোধী হুইপ হিসেবে কাজ করেন তরুণ এই নেতা।

২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ১৭তম জাতীয় কনভেনশনে জেভিপির নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন দিসানায়েক। তার এই দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা তাকে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে।

এবারের নির্বাচনে এনপিপি জোটের প্রার্থী ছিলেন জেভিপি প্রধান অনুরা কুমারা দিসানায়েক। এই জোট এর আগে কখনো শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলও ছিল না। দেশটির ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে এই জোটের আসন ছিল মাত্র তিনটি।

কিন্তু গণবিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালানোর পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জেভিপির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ওই বিক্ষোভে সক্রিয় ভূমিকা ছিল দলটির। আন্দোলনের পর জেভিপি বৃহত্তর পরিবর্তনের ডাক দেয়। সামাজিক ন্যায়বিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলটির অনড় অবস্থান নাগরিকদের আকৃষ্ট করেছে। তাতে দলের সঙ্গে বেড়েছে দিসানায়েকের ব্যক্তিগত আবেদনও।

গত শতকের সত্তর ও আশির দশকে মার্ক্সবাদে অনুপ্রাণিত দুটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিল জেভিপি। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা এর চরম প্রতিশোধ নেয়। গণগ্রেফতার, নির্যাতন, অপহরণ ও গণহত্যায় দল সংশ্লিষ্ট কমপক্ষে ৬০ হাজার মানুষ নিহত হন। এর মধ্যে দলের প্রতিষ্ঠাতা রোহানা উইজেবিরাসহ বেশিরভাগ জ্যেষ্ঠ নেতাও ছিলেন।

অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর ৫৫ বছর বয়সী দিসানায়েক জেভিপির পলিটব্যুরো সদস্য হন। দলটিও সহিংসতার পথ থেকে সরে আসে।

বিশ্লেষকদের মতে, দিসানায়েক সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে এক বৃহত্তর জোট গড়ে তুলতে পেরেছেন। এটিই তাকে জয়ের পথ তৈরি করে দিয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 bornomalanews24.com
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102