ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের ট্রাস্টি, ব্যবসায়ী ও লেখক কাজী আনিস আহমেদ বিদেশে শেখ হাসিনাপন্থি প্রচারে ‘গোপনে অর্থ ঢেলেছেন’ বলে এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে ‘নেত্র নিউজ’।
সুইডেনভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্ল্যাটফর্ম-নেত্র নিউজ লিখেছে, মিডিয়া উদ্যোক্তা কাজী আনিস তার মালিকানার দুবাইভিত্তিক কোম্পানির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ডানপন্থি লবিং কোম্পানির সাহায্যে ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক মহলে শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা চালিয়ে এসেছেন।
আর এ কাজ করতে গিয়ে তিনি বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি নিয়েছেন বলেও নেত্র নিউজের ভাষ্য।
‘কীভাবে একজন মিডিয়া মোগল হাসিনাপন্থি প্রচারে অর্থায়ন করে গেছেন’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনের শুরুতে কাজী আনিস আহমেদের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে লেখা হয়েছে, এই ব্যবসায়ী এখন ‘দোদুল্যমান পারিবারিক ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের’ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক সাহিত্যে পিএইচডি করেছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস ও গার্ডিয়ানে প্রায়ই বাংলাদেশ নিয়ে কাজী আনিসের লেখা ছাপা হয়। লেখকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘পেন ইন্টারন্যাশনাল’ এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ তাকে বাকস্বাধীনতার কট্টর প্রচারক হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাজী আনিসের নেতৃত্বেই তাদের পরিবারের একসময়ের মিডিয়া ব্যবসার পুনরুজ্জীবন ঘটে। একটি ছাপা পত্রিকা, বাংলা ভাষার একটি ডিজিটাল নিউজ প্ল্যাটফর্ম, একটি সাহিত্য পত্রিকা এবং দুটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এর মধ্যে। এগুলোর মধ্যে‘দ্যা ঢাকা ট্রিবিউন’ দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। এই পরিবারের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো একটি ‘লেখকদের রয়্যালটি না দেওয়ার জন্য কুখ্যাতি কুড়িয়েছে বলেও আধা-ডজন লেখক নেত্র নিউজকে বলেছেন।
অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, এমন সব তথ্য ও রেকর্ড তাদের হাতে এসেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, কাজী আনিস তার দুবাই-ভিত্তিক একটি ফার্মের মাধ্যমে ‘গোপনে হাজার হাজার ডলার’ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন, যা দিয়ে তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে বছরের পর বছর গোপনে শেখ হাসিনার জন্য ‘লবিং’ করে গেছেন। তার এই তৎপরতা ছিল শেখ হাসিনার ‘ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার’ এবং তার প্রতিপক্ষকে হেয় করার প্রকল্প।
শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজী পরিবারের সম্পর্কের কথা গোপন নয়। তবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ক্ষেত্রে হাসিনাকে তারা কীভাবে সহায়তা করে গেছেন, তার বিস্তারিত চিত্র ওই নথিপত্রে উঠে আসার কথা বলছে নেত্র নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় থাকার বৈধতা নিয়ে নাজেহাল অবস্থায় পড়া শেখ হাসিনার শাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে গিয়ে তাদের বহুল প্রচারিত ‘সেক্যুলার ও উদারপন্থি চর্চার বিরুদ্ধে গিয়েও’ কাজ করতে দেখা গেছে কাজী আনিসকে।
ডানপন্থি লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে গোপন আঁতাত
শেখ হাসিনার জন্য ‘লিবার্টি সাউথ এশিয়া’ নামে ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে কাজী আনিসের গোপন যোগাযোগের কথা লিখেছে নেত্র নিউজ।
এই লবিস্ট ফার্মটির প্রধান সিথ ওল্ডমিক্সন নামে একজন, যিনি ব্যক্তিগতভাবে ডানপন্থি এবং ডানপন্থিদের জন্য লবিং করার রেকর্ড রয়েছে তার।
২০১৫ সালের ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রে ‘লিবার্টি সাউথ এশিয়া’র প্রতিনিধি বা প্রধান লবিস্ট হিসেবে নথিভুক্ত হন ওল্ডমিক্সন। এক বছর না যেতেই তিনি তার নিবন্ধনের কাগজপত্রে পরিবর্তন আনেন।
নেত্র নিউজের প্রতিবেদন বলছে, তখন থেকেই ওল্ডমিক্সনের সঙ্গে কাজী আনিসের ‘গোপন তৎপরতার’ শুরু।
ওল্ডমিক্সন তার ফার্মের সঙ্গে দুবাইভিত্তিক ‘গ্রিন পারস্পেক্টিভ এফজেডই’ নামে একটি কোম্পানিকে বিদেশি অংশীদার হিসেবে যুক্ত করেন।
নেত্র নিউজ লিখেছে, দুবাইয়ের এই ‘গ্রিন পারস্পেক্টিভ এফজেডই’ কোম্পানি কাজী আনিস আহমেদ সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করেন, যার কাগজপত্র তাদের হাতে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রভাব বিস্তারের জন্য লবিং করতে গিয়ে পরবর্তী কয়েক বছরেই এই ফার্ম ৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার খরচ করে।
বিচার বিভাগ, প্রতিরক্ষা বিভাগ, এমন কি যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন যার গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণে কাজ করে, সেই উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওল্ডমিক্সন।
লবিস্ট হিসেবে তিনি মূলত মার্কিন কংগ্রেসে তৎপর ছিলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশ বিষয়ে চারটি রেজুলিউশন বা প্রস্তাবের ব্যাপারে তিনি বেশি সোচ্চার ছিলেন। এর মধ্যে তিনটি প্রস্তাবের সমর্থনকারী ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থি আইনপ্রণেতা তুলসি গ্যাবার্ড ও জিম ব্যাঙ্কস।
নেত্র নিউজ প্রতিবেদনের সঙ্গে যে ওয়েব লিংক দিয়েছে, সেখানে গিয়ে দেখা যায় ১১৪তম ও ১১৬তম কংগ্রেসে দুটি প্রস্তাবের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তুলসি গ্যাবার্ড ও জিম ব্যাঙ্কস। ওই দুই প্রস্তাবে দক্ষিণ এশিয়ায় গণতন্ত্রের ‘বিরুদ্ধশক্তির’ উত্থানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশগুলোকে সতর্ক করা হয়। ধর্মীয় উগ্রবাদ বৃদ্ধি, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হয়।
নেত্র নিউজ লিখেছে, গ্যাবার্ড ও ব্যাঙ্কসের পৃষ্ঠপোষকতায় মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপিত বিলগুলোতে জামায়াতে ইসলামীকে পুরোপুরি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিত্রিত করা হয়। একই সঙ্গে প্রধান বিরোধীদল বিএনপির দুর্নাম করা হয়। আরেকটি প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সংকট সামলানোর ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।
মার্কিন কংগ্রেসে তোলা এসব প্রস্তাবের অংশবিশেষ সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় লিবার্টি সাউথ এশিয়া। এসব খবরের মূল ভাষ্যে ছড়ানো হয় শেখ হাসিনার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নিন্দার রসদ।
ওল্ডমিক্সন মুসলিমবিদ্বেষী সংগঠন হিসেবে পরিচিত ‘মিডল ইস্ট ফোরাম’ এর সঙ্গে যুক্ত। এই সংগঠনটি খুবই শক্তিশালী।
২০১৯ সালে জিম ব্যাঙ্কসের সমর্থিত প্রস্তাবের বিষয়ে বাংলাদেশি একজন সাংবাদিককে মিডল ইস্ট ফোরামের এক কর্মকর্তার পাঠানো একটি ই-মেইল দেখার কথা লিখেছে নেত্র নিউজ। সেখানে ব্যাঙ্কসের প্রস্তাবের শুধু সমর্থকই নয়, ওল্ডমিক্সনের লিবার্টি সাউথ এশিয়াকে তাদের অংশীদার হিসেবে তুলে ধরে মিডল ইস্ট ফোরাম।
নেত্র নিউজ লিখেছে, ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত লবিংয়ের অংশ হিসেবে ওল্ডমিক্সন অনেক লেখালেখি করেছেন, যেখানে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রাধান্য পেয়েছে, প্রচার করা হয়েছে ‘ইসলামভীতি’।
আইন ও নৈতিকতার লঙ্ঘন
নেত্র নিউজ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিশ্লেষণ করে লিখেছে, কাজী আনিস ও ওল্ডমিক্সনের এই ধরনের কাজের কোনো ‘আইনি ও নৈতিক ভিত্তি নেই’। তারা মূলত আন্তর্জাতিক আইন ‘লঙ্ঘন করেছেন’।
লবিস্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে গেলে সেটি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ঘোষণা দেওয়ার বিধান রয়েছে। নেত্র নিউজ লিখেছে, ২০১৫-২০১৯ পর্যন্ত দুই দফায় লিবার্টি সাউথ এশিয়ার সঙ্গে কাজ করলেও কাজী আনিস তার তৎপরতা ‘গোপন রাখার চেষ্টা’ করেছেন। এ কোম্পানি একটি ইনকরপোরেশন হিসেবে নিবন্ধিত, যারা প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করে। তবে ইনকরপোরেশন হলেও এর প্রতিনিধি হিসেবে শুধু ওল্ডমিক্সনের নাম রয়েছে, সেখানে কাজী আনিসের নাম নেই।
লিবার্টি সাউথের সঙ্গে ‘এসপিআর কনসাল্টিং’ নামে আরও একটি ফার্মের যুক্ত থাকার কথা এসেছে, তবে ওয়াশিংটনে এই ধরনের কোনো কোম্পানির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের ডেটাবেজ ও অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে নেত্র নিউজ বলেছে, লিবার্টি সাউথের মোটা অঙ্কের অর্থের উৎস হিসেবে কাজী আনিসের মালিকানাধীন দুবাইভিত্তিক গ্রিন পারস্পেক্টিভের নাম পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনে কেবল ফরেন এজেন্টস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট (এফএআরএ) এর অধীনে নিবন্ধিত লবিস্ট ফার্মই বাইরের কোনো দাতা বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা নিতে পারে এবং তাদের কর্মকাণ্ডের তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করতে হয়।
তবে ওল্ডমিক্সন কাগজপত্র জমা দিয়েছেন লবিং ডিসক্লোজার অ্যাক্ট (এলডিএ) নামের এক আইনের আওতায়, যেখানে রাজনৈতিক লবিংয়ের চেয়ে অর্থনৈতিক দিকটিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেজন্য গ্রিন পারস্পেক্টিভের পরিচয় তারা ব্যবহার করেছে,
নেত্র নিউজ লিখেছে, লবিস্ট নিয়োগ করে দলের ও নেতার ভাবমূর্তি বাড়ানোর চেষ্টার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে আওয়ামী লীগের। সাবেক সংসদ সদস্য তাহজিব আহমেদ সিদ্দিক একসময় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জন্য লবিস্ট ফার্ম ভাড়া করেছিলেন।
কাজী আনিসের বাবা কাজী শাহেদ আহমেদের আত্মজীবনী থেকে উদ্ধৃত করে নেত্র নিউজ লিখেছে, ১৯৯০-এর দশকে আজকের কাগজ করার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচার-প্রসার।
ব্যবসায়ী কাজী শাহেদ ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রভাবশালী একজন।
নেত্র নিউজ লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের সাজা হয়েছে ওল্ডমিক্সন ও কাজী আনিসের মত ‘আইনবহির্ভূত’ লবিস্ট হিসেবে কাজ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের ওপর তুরস্কের প্রভাব বাড়াতে একটি ডাচ কোম্পানির মাধ্যমে একজন তুর্কি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন ফ্লিন। এভাবে তৃতীয় কোনো দেশের ‘গোপন’ তৎপরতার অংশ হিসেবে বৈধ কোনো কোম্পানির কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ যুক্তরাষ্ট্রের আইন দণ্ডনীয়, যে কারণে ফ্লিনের সাজা হয়।
ওয়াশিংটনে কুইন্সি ইনস্টিটিউটের ডেমোক্রাটাইজিং ফরেন পলিসির গবেষক নিক ক্লিভিল্যান্ড স্টউটকে উদ্ধৃত করে নেত্র নিউজ লিখেছে, বিদেশি রাজনৈতিক দলের সুবিধার জন্য কোনো লবিং ফার্ম কাজ করলে এফএআরএ এর অধীনে তাদের নিবন্ধন করা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে কাজী আনিস সরাসরি যুক্ত না হলেও নথিপত্রে তারও নাম থাকা দরকার।
তিনি বলেন, এসব লবিংয়ের লক্ষ্যই হল আওয়ামী লীগের বিরোধীদের টার্গেট করে প্রচার-প্রচারণা চালানো। আওয়ামী লীগের আমলে তাদেরকে এ ধরনের লবিংয়ের সুবিধা নিতে দেখা গেছে।
এসব বিষয়ে কথা বলতে বারবার কাজী আনিসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি বলে নেত্র নিউজের ভাষ্য।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গোটা সময়জুড়ে কাজী আনিস এর বিরোধিতা করেছেন। পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে শত শত বিক্ষোভকারী নিহত হলেও ফেইসবুকে তাদের বিরুদ্ধে কথা চালিয়ে গেছেন তিনি। ছাত্রদের বিরুদ্ধে নৃশংস দমন-পীড়নেও নীরব থেকেছে তার নেতৃত্বাধীন ‘পেন বাংলাদেশ’।
শেখ হাসিনার পতনের পাঁচ দিন আগেও কাজী আনিস ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে লিখেছেন, যেসব বিকল্প রয়েছে, তাদের মধ্যে শেখ হাসিনা এখনও সবার চেয়ে উপযুক্ত।
নেত্র নিউজ লিখেছে, কাজী আনিসের অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেলের একটি অডিও বার্তা কয়েক দিন আগে ফাঁস হয়েছে। সেখানে বলতে শোনা গেছে, শেখ হাসিনার পতনের কিছু দিন আগে রাসেল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেন। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারও সুপারিশ করেন তিনি।
“তবে বর্তমানে কাজী আনিসের মালিকানাধীন মিডিয়া আউটলেটগুলো অন্য সুরে গাইছে,” লিখেছে নেত্র নিউজ।
ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান সম্প্রতি এক নিবন্ধে লিখেছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ‘কাকিস্টোক্রেসি’ অর্থাৎ সবচেয়ে খারাপের শাসন কায়েম করেছিলেন।