লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীতে ইসরায়েলি বিমান হামলাস্থল থেকে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর অক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একটি চিকিৎসা সূত্র ও নিরাপত্তা সূত্র রোববার একথা জানিয়েছে।
শনিবার হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে নাসরাল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও তাকে ঠিক কীভাবে হত্যা করা হয়েছে বা কখন তার শেষকৃত্য করা হবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, নাসরাল্লাহর মৃতদেহে সরাসরি কোনও আঘাত বা ক্ষত চিহ্ন নেই। বিস্ফোরণের শক্তিশালী ধাক্কার প্রভাবে (ব্লান্ট ট্রমা) তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরাল্লাহর ওপর হামলা চালাতে ইসরায়েল বাংকার বিধ্বংসী বোমা ব্যবহার করেছে বলে দেশটির সামরিক বাহিনী এর আগে জানিয়েছিল।
শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাংশে হিজবুল্লাহর কমান্ড সদরদপ্তরে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর নেতা নাসরাল্লহকে লক্ষ্যস্থলে পরিণত করতে এসব হামলা চালানো হয়। সেই হামলায় নাসরাল্লাহ নিহত হন।
নাসরাল্লাহর ওপর আঘাত হানতে তারা দক্ষিণ বৈরুতের একটি আবাসিক ভবনের নিচে ভূগর্ভস্থ সদরদপ্তরে বোমা হামলা চালিয়েছিল।
ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর ৬৯তম স্কোয়াড্রনের এফ-১৫আই যুদ্ধবিমান হাতজেরিম বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এমন একটি ছবি প্রকাশ করে জানিয়েছে, বৈরুতে হিজবুল্লাহর প্রধান নাসরাল্লাকে হত্যা করার মিশন পরিচালনা করতে বিমানটি রওনা হয়েছিল।
বাহিনীটি জানিয়েছে, তাদের এফ-১৫আই যুদ্ধবিমানগুলো বৈরুতের দহি এলাকায় হিজবুল্লাহর ভূগর্ভস্থ সদরদপ্তরে ডজন ডজন বাংকার বিধ্বংসী বোমা ফেলে।
লেবাননের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহর শীর্ষ কর্মকর্তারা যেখানে থাকেন সে এলাকাটি লক্ষ্য করেই এসব হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলে ৬৫ ফুট গভীর একটি গর্ত তৈরি হয়েছে।