রান্নাঘরে থাকা রসুন আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সবকিছুতেই রসুনের ভূমিকা রয়েছে। যাঁরা ওষুধ ছাড়া সুস্থ থাকতে চান, তাঁরা রোজ খালিপেটে এক কোয়া রসুন খেতে পারেন।
প্রতিদিন খালিপেটে এক কোয়া রসুন কেন খাবেন?
• রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে এটি লড়াই করে যায়। সাধারণ সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে রোজ রসুন খান।
• উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য রসুন আশীর্বাদ। রসুনের অ্যালিসিন রক্তনালী শিথিল করতে এবং রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। রসুন কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
• রসুন কিডনি রোগীদের জন্যও উপকারী। রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামের যৌগ কিডনির শিথিলতা, রক্তচাপ ও মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। কেননা এতে অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নেফ্রোপ্রোটেক্টিভ প্রভাব রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
• রসুন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেহকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। একইসঙ্গে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। এতে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
• নিয়মিত রসুন খেলে গাঁটে ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস থেকে স্থায়ী মুক্তি পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় রসুনে থাকা সালফার যৌগ শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
• যাঁদের হজমের সমস্যা আছে তাঁরা রোজ নিয়ম মেনে রসুন খান। কেননা হজমের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে রসুন। রসুনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য অন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের পরজীবী ও মাইক্রোবিয়াল সংক্রমণকে মেরে ফেলে। নিয়মিত রসুন খেলে পেট ফোলাভাব, কোলাইটিস, আলসার, গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
• হাড়ের ক্ষয় রোধ করতেও সাহায্য করে রসুন। কেননা এতে আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ ও ম্যাঙ্গানিজের মতো পুষ্টি উপাদান। এ উপাদানগুলো হাড়কে শক্তিশালী ও সুস্থ রাখার জন্য অপরিহার্য। নিয়মিত রসুন সেবন করলে অস্টিওপরোসিস রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতেও সাহায্য করে রসুন।
• রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ কমাতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। খাওয়ার পাশাপাশি ব্রণের ওপর রসুন থেতো করে লাগালে উপকার মিলবে।