বিভিন্ন দাবিতে মানুষজন অনশন কর্মসূচি পালন করেন, যা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে অনশনকারীর শরীরে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে—অ্যাসিডিটি, রক্তচাপ কমে যাওয়া, পেশি ক্ষয়, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং হজমশক্তি দুর্বল হয়ে পড়া এসব সমস্যার মধ্যে অন্যতম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ অনশনের পর হঠাৎ ভারী খাবার বা পানীয় গ্রহণ করলে আরও বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অনশন ভাঙাতে ডাবের পানি খাওয়ানোর রীতি আমাদের দেশে বেশ প্রচলিত। কিন্তু এই রীতির পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। পুষ্টিবিদদের মতে, ডাবের পানি সহজপাচ্য হওয়ায় তা পাচনতন্ত্রের ওপর বাড়তি চাপ ফেলে না। এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি, যা শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে এবং হজমশক্তি দ্রুত ফিরিয়ে আনতে সহায়ক। এছাড়া ডাবের পানি দেহের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং শরীরকে দ্রুত সতেজ করতে ভূমিকা রাখে। অনশন শেষে ডাবের পানি খাওয়ানোর এই রীতিকে শুধু সামাজিক সংস্কৃতি হিসেবে নয়, বরং স্বাস্থ্যসম্মত ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। অনশনকারীর শরীরকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ডাবের পানি হয়ে উঠেছে নির্ভরতার প্রতীক।