যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্যাম্পেইনের জন্য প্রায় সাড়ে সাত কোটি ডলার অনুদান দিয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। মঙ্গলবার প্রকাশিত রাষ্ট্রীয় নথিপত্রে দেখা যায়, গত তিন মাসে ট্রাম্পপন্থি ‘ব্যয় গোষ্ঠীকে’ (স্পেন্ডিং গ্রুপ) এই পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন তিনি।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য থেকে দেখা গেছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে ‘আমেরিকা পিএসি’ প্রায় ৭ কোটি ২০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ট্রাম্পের প্রচারণার সমর্থনের জন্য কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে মিলে গঠন করেছেন মাস্ক। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে কাজ করে থাকে আমেরিকা পিএসি।
ট্রাম্পপন্থি অন্য যে কোনো সুপার পিএসি (পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি) থেকে বহুগুণ বেশি অনুদান দিয়েছে আমেরিকা পিএসি। ফলে, মার্কিন নির্বাচনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক ও ট্রাম্পের মিত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন টেসলা ও স্পেস এক্সের মালিক।
আগের নির্বাচনগুলোতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের ভোট দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন মাস্ক। তবে এবার পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে রক্ষণশীলদের সঙ্গে হাত মেলালেন।
এদিকে জর্জিয়া রাজ্যে ভোটারের সংখ্যা বেড়ে রেকর্ড ছুঁয়েছে। দোদুল্যমান রাজ্য হিসেবে বিবেচিত জর্জিয়ায় মঙ্গলবার আগাম ভোট শুরু হয়। ভোট গ্রহণের প্রথম দিনেই ২০২০ সালের নির্বাচনের তুলনায় দ্বিগুণ ভোটারের ব্যালট জমা নেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ট্রাম্পের। দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর ভোট দুই প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা পালন করবে।
জর্জিয়ার নির্বাচন কর্মকর্তা গ্যাব্রিয়েল স্টার্লিং বলেন, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত আগাম ভোটের কেন্দ্রগুলোয় অন্তত ২ লাখ ৫২ হাজার ভোট গ্রহণ করা হয়েছে, যা ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘এটি চমকপ্রদ অংশগ্রহণ।’ নির্বাচন ল্যাবের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এরই মধ্যে ৫৫ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন। খবর রয়টার্স ও সিএনএনের।