মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। এর আগে সোমবার সংগঠনটির পল্টন ট্র্যাজেডি দিবসের আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে প্রকাশ্যে আসেন শাখার সভাপতি ও সেক্রেটারি।
আবু মুসা বলেন, ‘দাবি-দাওয়া আদায়ে দল-মত ভুলে সকল সাধারণ শিক্ষার্থীকে একটি জায়গায় এসে দাঁড়াতে হবে। আন্তর্জাতিকীকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাখাতে উন্নয়নের জন্য উপাচার্য যে চিন্তাগুলো করছেন, আমরা সবাই মিলে যদি সহযোগিতা করি তাহলে প্রশাসন সেই কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবে। আমাদের পক্ষ থেকে সবাইকে একসঙ্গে থেকে ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ছাত্ররাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে শিক্ষার্থীরা দেশে ছাত্র-রাজনীতির যে রূপ দেখেছে তা মূলত ছাত্র-রাজনীতি নয়।
তিনি আরো বলেন, ‘লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বলতে মূলত বোঝায়, কোনো ছাত্রসংগঠনকে ওপর থেকে কোনো একটা পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করা। সেদিক থেকে ছাত্রশিবির একটি স্বতন্ত্র সংগঠন। আমাদের প্রত্যেকটা কার্যক্রম গঠনতন্ত্রের আলোকে পরিচালিত হয়। শিবিরের নেতা নির্বাচন হয় সংগঠনের সদস্যের প্রত্যক্ষ ভোটে।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে শিবিরের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে সাংবিধানিকভাবে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। ছাত্রশিবির একটি স্বতন্ত্র সংগঠন। তবে আদর্শগত দিক থেকে তাদের সঙ্গে আমাদের মিল রয়েছে।’
ক্যাম্পাসে সংস্কৃতি চর্চার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে সভাপতি আবু মুসা বলেন, ‘ছাত্রশিবির সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চায় বিশ্বাস করে। সেক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে যেকোনো মতের সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের নিজস্ব মতানুযায়ী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে পারবে। এখানে ছাত্রসংগঠন হিসেবে আমাদের বাঁধা দেওয়ার কিছু নেই। এটা তাদের মৌলিক অধিকার।’