রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আগুন নেভাতে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এলে ছাত্রদের বাধার মুখে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এ সময় ছাত্ররা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। কয়েক মিনিট পরে পুলিশের সহায়তায় আগুন নেভানোর জন্য প্রবেশ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সেখানে ৫ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম জানান, ২ নভেম্বর জাতীয় পার্টি কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক চলছিল। এসময় বাইরে কিছু লোক এসে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরে উপস্থিত জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বিজয়নগর থেকে কিছু লোক এসে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের নিচ তলায় আগুন দেয়।
এই ঘটনায় নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অপতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্তের’ প্রতিবাদে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতা’ ব্যানারে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
বিকালে আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনীতিক অতৎপরতা ও দেশ বিরোধী চক্রান্ত এই দেশে হবে না এবং তাদের রাজনীতি করার অধিকার নাই বলে এমন মন্তব্য করেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতার সদস্যরা।
বক্তারা বলেন, আপনারা জানেন আওয়ামী লীগ সরকার জুলাই মাসে সারা দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হলেও জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ দোসরদের পুর্নবাসিত করার চেষ্টা করছে। বাংলার মুক্তিকামী জনতা তা কখনোই মেনে নেবে না।