শফিকুল আলম: আওয়ামী লীগকে প্রতিবাদ কর্মসূচি করার আগে ক্ষমা চাওয়া এবং বিচারের সম্মুখীন হতে হবে
ঢাকা, বুধবার – প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “যত দিন না আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাচ্ছে, তাদের নেতৃত্বকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে এবং জবাবদিহির মধ্যে আনা হচ্ছে, তত দিন তাদের কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি করার অনুমতি দেওয়া হবে না।”
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। এর আগে, শফিকুল আলম সকালে নিজের ফেসবুক পেজে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ জানিয়ে একটি পোস্টও দেন। তিনি বলেন, “সরকারের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। আওয়ামী লীগ এবং তাদের শীর্ষ নেতারা ২০১৩ সালের জুলাই মাসের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।”
এসময় তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) তাদের প্রতিবেদনে অভিযোগ করেছে যে, “শেখ হাসিনা সরাসরি গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।” শফিকুল আলম বলেন, “এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক হৃদয়বিদারক ঘটনা, যেখানে শিশু থেকে শুরু করে যুবক, বৃদ্ধ সবাই নির্বিচারে খুন হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে এবং অনেকেই আজীবন পঙ্গু। অথচ, যারা এই ভয়াবহতা ঘটিয়েছে, তারা কোন অনুশোচনা বা দুঃখপ্রকাশ তো দূরে থাক, মিথ্যাচার করছে। তারা দাবি করছে তিন হাজার পুলিশ মারা গেছে। এটা শুধুই এক বানোয়াট গল্প।”
এদিকে, প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল আলম আরও বলেন, “যত দিন না আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাচ্ছে এবং তাদের নেতাদের বিচারের সম্মুখীন করা হচ্ছে, তত দিন তারা কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ কর্মসূচি করার অধিকার পাবে না।”
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার তাদের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়েছিল যে, তারা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হরতাল, অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে। এতে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে শফিকুল আলম বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের মতো দল যে ধরনের কর্মসূচি দিতে পারে, তা কোনোভাবেই সরকার মেনে নেবে না।”
তিনি সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, “আগে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে, তারপর তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারবে।”