বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ও উদ্বেগের এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ শুক্রবার, দলের স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন। এরপর, বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। সেখানে তারা চলমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ ও অবস্থান তুলে ধরবে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গুলশানের দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় বৈঠকটি শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর, দুপুর ১টার দিকে বৈঠকটি শেষ হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ সারা দেশে ভাঙচুরের ঘটনা, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এবং সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমরা দেশের চলমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। বৃহস্পতিবার রাতে আমরা আমাদের দলীয় অবস্থান জানিয়েছি।”
বিএনপি দাবি করছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা বলছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে যখন-তখন সড়কে ‘মব কালচারের’ মাধ্যমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্র ও সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান করা এখন সময়ের দাবি। অন্যথায়, দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির প্রসার ঘটবে, যা দেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
এভাবে, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামাজিক অস্থিরতার মধ্যে বিএনপির এই উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এই আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।