চারটি দাবিতে আগামীকাল বুধবার থেকে সারা দেশের ৬৭ সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছে বিএনপি। এই সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতারা তৃণমূলে উপস্থিত থাকবেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে সহনীয় পর্যায় বজায় রাখা, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য এই চারটি দাবি সামনে রেখে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে সমাবেশ শুরু হবে।
এই কর্মসূচি আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। জেলা পর্যায়ে সমাবেশের পর, পর্যায়ক্রমে মহানগর ও বিভাগীয় সদরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার, দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সমাবেশের দিনক্ষণ এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার জন্য নির্ধারিত জেলাগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে, আসন্ন রমজানে বিএনপির রাজপথে কোনো কর্মসূচি থাকবে না বলে জানা গেছে। তবে, ওই মাসে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে একই দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হবে। যদি এই সময়ের মধ্যে সংস্কার এবং জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ সুনির্দিষ্ট না করা হয়, তাহলে রমজানের পরে রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে দলটি।
এখন প্রশ্ন হলো, বিএনপির এই উদ্যোগ কি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, নাকি পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে?