আজ ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সময় : সকাল ১১:০৫

বার : সোমবার

ঋতু : গ্রীষ্মকাল

সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নিলে সমুচিত জবাব: বিএনপিকে কাদের

সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নিলে সমুচিত জবাব: বিএনপিকে কাদের

সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নিলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে বিএনপিকে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপিকে উদ্দেশ করে কাদের বলেন, ‘শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হওয়া ও আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি আবারও সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নেয় তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’

সোমবার (১৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এই বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিএনপিকে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভাবের ঘোষণা দিয়েছেন! তার এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আবারও বিএনপির শক্তিহীনতা, দুর্বলতা, অক্ষমতা ও দৈন্যতার নির্মম বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। প্রকারান্তরে কার্যত বিএনপি একটি শক্তিহীন ও অন্তঃসারশূন্য রাজনৈতিক দল। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্তিশালী বিরোধী দলের অনুপস্থিতির যে কথা বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেটাই প্রতীয়মান হয়েছে।’

সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি অনুযায়ী বিরোধী দলের শক্তিমত্তা প্রতিষ্ঠিত করার স্থান হলো জাতীয় সংসদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘বিরোধী দলকে ছায়া সরকার হিসেবেও অভিহিত করা হয়। সেজন্য যেকোনও রাজনৈতিক দলকে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা আবশ্যক। যদি বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন করি, বর্তমানে জাতীয় সংসদে তাদের আসন সংখ্যা কত? আর সেটা দিয়ে তারা কতটুকু শক্তিশালী বিরোধী দল হতে পেরেছে, তা জাতির সামনে প্রমাণিত। আগামী নির্বাচন ব্যতীত জাতীয় সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল হয়ে ওঠা কোনোভাবেই  বিএনপির পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কী ধ্বংসাত্মক এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাসের মতো ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বিএনপি? দেশের সচেতন জনগণ মনে করে, বিএনপির এই দুরভিসন্ধিমূলক ঘোষণার নেপথ্যে দেশবিরোধী গভীর কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। অবশ্য অতীত ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বিএনপি নেতাদের ‘অতি অল্প সময়’-এর কোনও সীমারেখা নেই! তাই বিএনপির হাঁকডাক হুমকি-ধমকিতে জনগণের কোনও আগ্রহ নেই।’’

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘‘ফ্যাসিবাদী আদর্শের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি সরকারকে ফ্যাসিবাদী অভিহিত করে একদিকে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের মিথ্যা অভিযোগ করছেন। অপরদিকে একই কণ্ঠে বলছেন, ‘শক্তিশালী বিরোধী দল আছে বলেই তো এখন পর্যন্ত কথাগুলো আমরা বলছি।’ সরকার যদি ফ্যাসিবাদী হয়, তাহলে তারা সরকারবিরোধী অপপ্রচার ও যথেচ্ছা মিথ্যাচার করেন কীভাবে? নিজেদের স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদী আদর্শের নিকৃষ্ট ইতিহাসকে আড়াল করতে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই বিএনপি এই পরিভাষাকে ব্যবহার করে।’’

কাদের বলেন, ‘দেশে যখনই কোনও ফ্যাসিবাদী শাসন জেঁকে বসতে চেয়েছে তখনই জনগণ গণআন্দোলন গড়ে তুলেছে। আর সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে গণমানুষের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ। ফ্যাসিবাদী বিএনপি রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে যখন ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চেয়েছিল, তখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনগণের দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলে। একইভাবে স্বৈরাচারী বিএনপি ২০০৬ সালে ক্ষমতাকে জবর দখল করতে যখন নীল নকশার নির্বাচনের আয়োজন করে, তখনও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাংলার জনগণ। ফ্যাসিবাদী বিএনপি এদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে এবং ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category