ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রখ্যাত অধ্যাপক এবং এক সময়ের মানবাধিকারকর্মী, চৌধুরী রফিকুল (সি. আর) আবরার—যিনি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং মানবাধিকার বিষয়ে এক অটল অবস্থান বজায় রেখেছেন—তিনি আজ শপথ গ্রহণ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে। এমন এক মুহূর্ত, যখন রাজনৈতিক ইতিহাসের পৃষ্ঠাগুলিতে আরেকটি নতুন অধ্যায় লেখা হতে যাচ্ছে। একটি দেশে, যেখানে প্রতিনিয়তই পরিবর্তন, উত্তেজনা, এবং উত্থান-পতন ঘটছে, সেখানে এই নিঃশব্দ শপথ যেন দেশের ভবিষ্যতের নকশা বদলে দেওয়ার সাঙ্কেতিক এক পদক্ষেপ।
৫ মার্চ, বুধবার, বেলা ১১টা ৬ মিনিটে, রাজধানীর বঙ্গভবনে এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সেদিন, এই বিশেষ অনুষ্ঠানে, চৌধুরী রফিকুল আবরার তার শপথবাক্য পাঠ করেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের উপস্থিতিতে। যেন এক তীব্র গহিনতা ভরা শপথের মধ্য দিয়ে শুরু হলো তার নতুন যাত্রা—এমনকি, অনুষ্ঠানটি শুরু হতেই, এক মিনিটের নীরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে স্মরণ করা হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের, যারা দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। যেন সেই এক মিনিটের নীরবতায় প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল দেশটির প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধা এবং রাজনৈতিক চেতনা।
নবনিযুক্ত উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, যিনি নতুনভাবে শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, তার এক নতুন পথচলা শুরু হতে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, শফিকুল আলম, স্পষ্টভাবেই জানান—আবরারের আগমন হবে শিক্ষা এবং পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা। তার আগমনে সরকারের ভিতরে নতুন দিশা এবং গতিশীলতা সৃষ্টি হবে, যা শিক্ষানীতি এবং দেশের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে এক নতুন আলোচনার সূত্রপাত করবে। তবে, যে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এতদিন এই দ্বৈত দায়িত্ব পালন করেছেন, তাকে শুধুমাত্র পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রাখা হয়েছে।
এতটা পরিপূর্ণভাবে সাজানো সরকারের কাঠামো, যে যেখানে এক নতুন উপদেষ্টা যোগ হওয়ার পর, দেশের সর্বমোট উপদেষ্টার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৩ জনে। যেন প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি সিদ্ধান্ত, সরকারের কার্যক্রমে নতুন এক ছন্দ তৈরি করবে—এটি কোনো সাধারণ পরিবর্তন নয়, বরং একটি ধ্বনিত সংকেত যে দেশের ভবিষ্যতের রূপরেখা এক নতুন অভিমুখী হতে যাচ্ছে।