মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ আবু সাঈদ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উদযাপনের জন্য জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছে এনবিআরে প্রবেশ ও বের হওয়া নিষিদ্ধ, আন্দোলনকারীদের অবস্থান প্রকাশ ইরানে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ২৫০ বাংলাদেশির দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন: সরকার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করলো ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ পুরোদমে এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) হজপালন শেষে দেশে ফিরলেন ৪০ হাজার ৫২০ জন হাজি

ট্রাম্পের সামনেই বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ইলন মাস্ক

bornomalanews
  • Update Time : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫
  • ৮৮ Time View

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনেই এক অপ্রত্যাশিত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও নবগঠিত গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি বিভাগের প্রধান ইলন মাস্ক। হোয়াইট হাউসে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) অনুষ্ঠিত এক ক্যাবিনেট বৈঠকে তাঁদের মধ্যে এই উত্তপ্ত বিতর্কের ঘটনা ঘটে। খবর অনুসারে, নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং রয়টার্স একে গুরুত্ব সহকারে রিপোর্ট করেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈঠকের সময়, যখন মাস্ক ও রুবিও মধ্যে বাকযুদ্ধ তীব্র হয়ে ওঠে, তখন মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা মোনালিসার মতো নিরবভাবে বসে থেকে কেবল ঘটনাটির পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁরা বিতর্কে কোনরকম হস্তক্ষেপ করেননি। প্রথম এই দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

হোয়াইট হাউসে, উপবৃত্তাকার টেবিলের একদিকে ইলন মাস্ক তির্যকভাবে বসে রুবিওকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “আমি আপনার কর্মীদের ছাঁটাই করিনি।” তবে, তাঁর এই মন্তব্যের পেছনে একাধিক মাসের ক্ষোভের গন্ধ ছিল। রুবিও, যিনি কয়েক সপ্তাহ ধরে মাস্কের উপর ব্যক্তিগতভাবে ক্ষুব্ধ ছিলেন, মাস্কের দাবি থেকে স্পষ্ট করলেন—এর সূত্র ছিল, যখন তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রায় ২০ জন ক্যাবিনেট সদস্যের উপস্থিতিতে, রুবিও তার অভিযোগগুলো উত্থাপন করেন। তীব্র উত্তেজনায়, মাস্ক নিজেকে ন্যায্য প্রমাণ করতে বলেন, “আমি আমার বিভাগের কাউকেও ছাঁটাই করিনি।” কিন্তু রুবিও, যা আরেকটু ব্যঙ্গাত্মক কৌতুকের আকারে তোলেন, তাঁর জবাবে বলেন, “তাহলে, আপনি কি বলতে চান যে, পররাষ্ট্র দপ্তরের ১,৫০০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা যারা আগাম অবসর নিয়েছেন, তারা ছাঁটাই হয়নি?”

এখানেই থামেননি রুবিও, কটাক্ষ করে প্রশ্ন করেন, “আপনি কি চান যে আমি তাদের আবার পুনরায় নিয়োগ করি, যেন আপনি আবার তাদের বরখাস্ত করতে পারেন?” মুহূর্তে, ট্রাম্প কেবল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং রুবিওকে বলেন, “ও (মাস্ক) ভালো কাজ করছে।”

কিছুটা আড়ালে থেকে, বৈঠকের আগে ট্রাম্প মন্ত্রিসভায় মন্তব্য করেছিলেন, “তাদের সংস্থার প্রধান মাস্ক নয়, আমরা সবাই একযোগে কাজ করছি।”

এদিকে, মাস্ক ও রুবিওর বিতর্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি। এমন একটি অভিযোগ শোনা যাচ্ছে যে, আমেরিকার ফেডারেল আমলাতন্ত্রের বিশাল একটি অংশকে মাস্ক অপসারণ করতে চাইলেও, রুবিও তাতে আপত্তি জানিয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প, মাস্ককে কর্মী ছাঁটাইয়ের পুরো দায়িত্ব দেন।

তবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বন্দ্বের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, “কোনো দ্বন্দ্ব হয়নি। রুবিও ও মাস্কের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। তারা দুজনেই দুর্দান্ত কাজ করছেন। তবে, সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102