গাজায় চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতির জন্য আরেক দফা চুক্তির প্রচেষ্টা চলছে—এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল একসঙ্গে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয় সময় সোমবার, হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকের পর আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমরা জিম্মিদের বের করে আনতে চাই। জিম্মিদের নিয়ে আমাদের সমস্যা আছে। তাদের মুক্তি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।” গাজার পরিস্থিতি নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, “গাজা উপত্যকা এখন এক ভয়ংকর মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। এটি এমন একটি বিপজ্জনক স্থান, যা পুনর্গঠনে বহু বছর লেগে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “আমি বুঝে উঠতে পারছি না, ইসরায়েল কেন অতীতে গাজা ছেড়ে দিয়েছিল। এখন অনেক দেশই চায় ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে এবং তাদের নিজেদের দেশে গ্রহণ করতে।” ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সহায়তা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “আমরা প্রতিবছর ইসরায়েলকে ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছি এবং এই সমর্থন অব্যাহত থাকবে।” তিনি উল্লেখ করেন, “গাজা থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের শরীরে কোনো আঘাত দেখিনি, কিন্তু তাদের আত্মা ক্ষতবিক্ষত।” ট্রাম্প বলেন, “আমি ১০ জন মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মির সাক্ষাৎকার নিয়েছি, যারা হামাসের নিষ্ঠুরতা নিজের চোখে দেখেছে।” সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প নিজেকে ইসরায়েলের প্রত্যাশা পূরণে সবচেয়ে সফল মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উল্লেখ করেন। এ সময় নেতানিয়াহু তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইহুদিদের একজন অসাধারণ বন্ধু।” নেতানিয়াহু আরও বলেন, “ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যে ঘাটতি দূর করাই হবে সময়ের দাবি। এটাই সঠিক পথ।” এভাবে, গাজার সংকট এবং ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থন নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।