আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার, স্থানীয় সময়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতির মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করে। ৮ এপ্রিল, ২০২৩, বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৪তম দেশ হিসেবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৫ সালের ৮ এপ্রিল বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশ আর্টেমিস চুক্তির ৫৪তম স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসনের উপস্থিতিতে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ একটি টেকসই সম্পর্ক উপভোগ করছে। আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের সঙ্গে এই সম্পর্ক অব্যাহত রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে বাংলাদেশ মহাকাশে শান্তিপূর্ণ অন্বেষণের স্বপ্ন দেখছে।” যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক বিদ্যমান। এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে উভয় দেশ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় পারস্পরিক অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র সাতটি সহযোগী দেশের সঙ্গে মিলে আর্টেমিস অ্যাকর্ড প্রবর্তন করে, যা মহাকাশে দায়িত্বশীল ও টেকসই নাগরিক অন্বেষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি ব্যবহারিক নীতিমালার সংকলন। বর্তমানে চুক্তিতে বাংলাদেশসহ আরও ৫৩টি দেশ রয়েছে, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউক্রেন, থাইল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল উল্লেখযোগ্য। এই চুক্তির বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং নাসা মূল নেতৃত্ব প্রদান করে থাকে।