বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি এক গভীর ও চিন্তাশীল বক্তব্যে বলেছেন, “আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে, যা সুদূর অতীত থেকে গড়ে উঠেছে।” তিনি উল্লেখ করেন, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয়ে একটি সুসংগঠিত জাতি নির্মিত হয়। জাতির আত্মপরিচয়ে পহেলা বৈশাখ একটি উজ্জ্বল ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তারেক রহমান বলেন, “আবহমানকাল ধরে নানা রূপ ও বৈচিত্র্যে পহেলা বৈশাখ আমাদের জীবনে বারবার ফিরে আসে।” নববর্ষের উৎসবের সঙ্গে প্রকৃতির উচ্ছ্বাস ও প্রাণের উজ্জীবন যুগ যুগ ধরে জড়িত। এই উৎসব আমাদের হৃদয়ে জাগায় স্বজাতির অতীত গৌরব ও ঐশ্বর্যের স্মৃতি। রোববার (১৩ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশ-বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ অতীতের আলোকচ্ছটায় অনুপ্রাণিত হয়ে ভবিষ্যতের উৎকর্ষ ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেয়।” বর্তমান সময়ে আমাদের প্রয়োজন একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। এর জন্য জনগণের উদার দৃষ্টিভঙ্গি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তিতে বহুমতের সহাবস্থান নিশ্চিত করে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। তারেক রহমান বলেন, “নানা ঘটনা ও দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়ে ১৪৩১ সাল পেরিয়ে আমরা আজ ১৪৩২ সালের প্রভাতে উপস্থিত হয়েছি।” বিশ্বজুড়ে রক্তপাত ও বিস্ফোরণের অশান্তির ছায়া বিরাজমান। শান্তির জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকলে হবে না; স্বার্থ নয়, সমাধান হতে হবে নিঃস্বার্থ। তাহলেই রক্ত ঝরবে না, শান্তির প্রতীক্ষা দীর্ঘ হবে না। আমাদের অতীতের ক্লান্তি, হতাশা ও গ্লানিকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে অগ্রসর হতে হবে—এটাই আমাদের লক্ষ্য।