বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তৃতা প্রদান করেন, যেখানে তিনি দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বাধাগ্রস্ত হলে দেশের সবকিছুই বাধাগ্রস্ত হয়। তাই যে কোনো মূল্যে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটি বিএনপির অঙ্গীকার। তারেক রহমানের মতে, জনগণের চাওয়ার সঙ্গে একটি বিশেষ মহলের চাওয়ার পার্থক্য রয়েছে। তবে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপি যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য দল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রস্তাবগুলো স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের নিয়ত পরিষ্কার। যা কমিটমেন্ট করেছি তা বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ।” জনগণের সঙ্গে থাকার গুরুত্ব তারেক রহমান দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জনগণের সমর্থন পেতে হলে তাদের কাছে যেতে হবে। জনগণের সঙ্গে থাকার কোনো বিকল্প নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিএনপি শুধু ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েই থেমে থাকেনি, বরং মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে এই প্রস্তাবগুলো পৌঁছে দিচ্ছে। বিএনপির সাফল্যের দাবি তারেক রহমান দাবি করেন, দেশের ৭০ শতাংশ ভালো কাজ বিএনপির শাসনামলেই হয়েছে। তিনি বলেন, সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন এবং পরিবেশের সমস্যাগুলো নিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে বিএনপিকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জনগণ জানে, দেশের ভালো কিছু করতে পারলে বিএনপিই তা করতে পারবে। কর্মশালার আয়োজন এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলায় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত হয়। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তারেক রহমানের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, বিএনপি দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দলটি জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।