ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের মোলানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণসংযোগকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা এবং বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের উপর দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চালিয়েছে। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনা আর কখনো বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবেন না। জনগণই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তার মতে, শেখ হাসিনার শাসনামলে সাধারণ মানুষ এতটাই নির্যাতিত হয়েছে যে তারা তাকে আর কখনো গ্রহণ করবে না। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ১৫ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু তার শাসনামল ছিল ফ্যাসিবাদী। জনগণের উপর এমন নির্যাতন চালানো হয়েছে যে, তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের সতর্কবার্তা বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা যেন আওয়ামী লীগের মতো অন্যায় না করে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, দলের কোনো নেতাকর্মী অন্যায় করলে জেলা নেতারা যেন তাদের শক্ত হাতে দমন করে অথবা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তিনি বলেন, “অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে।” নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও খালেদা জিয়ার বার্তা গণসংযোগে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনাদের ইচ্ছায় যদি আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে জনগণের কল্যাণে ভালো কাজগুলো করবো।” তিনি খালেদা জিয়ার বার্তা তুলে ধরে বলেন, “আমাদের নেত্রী হাসপাতালে থেকেও বলেছেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসা চাই না। আমরা চাই একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে।” উন্নয়ন বঞ্চনার অভিযোগ মির্জা ফখরুল তার নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের সাবেক জনপ্রতিনিধিদের সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি সমর্থনের কারণে অনেক এলাকা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এমন ব্যক্তিরা কি জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন?” তিনি জনগণকে আহ্বান জানান, “আসুন আমরা সবাই মিলে একটি ভালোবাসার দেশ গড়ি।” গণসংযোগে ব্যাপক সাড়া গণসংযোগে বিএনপির জেলা ও উপজেলা নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।