বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের উপপরিচালক মো. নূরুল ইসলাম (৪৫) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুবরণ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কর্ণকাঠি এলাকার খয়রাবাদ সেতুর পাশের একটি খাল থেকে তাঁর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার বিস্তারিত জানা গেছে, নূরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছে বর্গা নেওয়া ধানক্ষেতে সেচ দেওয়ার জন্য খাল থেকে পানি তুলতে গিয়েছিলেন। এসময় পানির পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুতের তার থেকে সৃষ্ট শকে তিনি খালে পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা তাঁর মরদেহ খালে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। তাঁর হাতে বৈদ্যুতিক তার প্যাঁচানো ছিল।” নূরুল ইসলামের স্ত্রী ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ বুঝে নেওয়ার আবেদন করায় মরদেহটি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীর শোকে নিমজ্জিত। উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন এক শোকবার্তায় নূরুল ইসলামের অকাল মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।” ঘটনাস্থলে উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়ে নিহতের স্ত্রী ও পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। নূরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কর্ণকাঠি এলাকায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং কৃষিকাজে আগ্রহী ছিলেন বলে জানা গেছে। এই দুঃখজনক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নূরুল ইসলামের সহকর্মীরা তাঁকে একজন মেধাবী ও পরিশ্রমী কর্মকর্তা হিসেবে স্মরণ করছেন। তাঁর মৃত্যুতে স্থানীয় কৃষিকাজেও এক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।