৩৯তম ফোবানা সম্মেলন: প্রবাসী বাংলাদেশীদের মিলনমেলার প্রস্তুতি উত্তর আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা, ৩৯তম ফোবানা সম্মেলন, আগামী লেবার ডে উইকেন্ডে ২৯, ৩০ ও ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের সম্মেলনের ভেন্যু হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে আটলান্টা, জর্জিয়ার গ্যাস সাউথ কনভেনশন সেন্টার। আয়োজক সংগঠন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আটলান্টার বাংলা ধারা।
এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এবং প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই তুঙ্গে পৌঁছেছে। ফোবানা সম্মেলনের হোস্ট কমিটির কর্মকর্তারা পুরো উত্তর আমেরিকা জুড়ে সম্মেলনের প্রচার ও প্রোমোশনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯, ১০ ও ১১ মে তারা নিউইয়র্ক সফর করেন। ১০ মে শনিবার, ফোবানা এক্সিকিউটিভ কমিটি এবং হোস্ট কমিটির কর্মকর্তারা নিউইয়র্কে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। এই সভায় কর্মকর্তারা ফোবানার ধারাবাহিক কার্যক্রম এবং আসন্ন সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন। মতবিনিময় সভায় ফোবানা কর্মকর্তারা সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে গঠনমূলক পরামর্শ আহ্বান করেন। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরাও তাদের মূল্যবান মতামত এবং পরামর্শ শেয়ার করেন, যা সম্মেলনের সফল আয়োজনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক, পরিচালক এবং শীর্ষ কর্মকর্তারা। এছাড়াও ফোবানা সেন্ট্রাল কমিটির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আবীর আলমগীর, ৩৯তম ফোবানা সম্মেলনের কনভেনর নাহিদুল খান সাহেল, মেম্বার সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, হোস্ট প্রেসিডেন্ট ডিউক খান, কো-কনভেনর কাজী নাহিদ এবং এডভাইজারি কমিটির অন্যতম এডভাইজার নার্গিস আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বিজনেস স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান এনামুল হক এনামও এই সভায় অংশগ্রহণ করেন। এবারের ফোবানা সম্মেলন উত্তর আমেরিকার ২৪টি শহর থেকে ৮৭টি সংগঠনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে। তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলনে ৮ হাজারেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশীর অংশগ্রহণের আশা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, উত্তর আমেরিকার বাইরের আরও ৮টি দেশ থেকেও প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই সম্মেলন শুধু প্রবাসী বাংলাদেশীদের মিলনমেলা নয়, বরং এটি বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং প্রবাসীদের সাফল্যের এক অনন্য উদযাপন।
সম্মেলনের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীরা একত্রিত হয়ে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার সুযোগ পাবেন। একইসাথে, এটি নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। ৩৯তম ফোবানা সম্মেলনকে ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে এই আয়োজনকে আরও সাফল্যমণ্ডিত করবে।