বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল ও কলেজে শিক্ষক নিয়োগে শহরাঞ্চলে ৪০ শতাংশ এবং মফস্বল অঞ্চলে ২০ শতাংশ নারী কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এখন থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আর নারী কোটা প্রযোজ্য হবে না। তবে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী ‘সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)’ এবং ‘শরীরচর্চা শিক্ষক’ পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে। এই প্রজ্ঞাপনটি গত ১৫ মে থেকে কার্যকর হয়েছে। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট সব প্রশাসনিক বিভাগ, শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে, এনটিআরসিএ (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মতামত চেয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নির্দেশনার আলোকে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগেও সরকারি চাকরির মতো ৭ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের পক্ষে মত দেওয়া হবে। বর্তমানে ৭ শতাংশ কোটা বহাল রয়েছে, যার মধ্যে ৫ শতাংশ নির্ধারিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য এবং ১ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগণের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। এই নতুন সিদ্ধান্তটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা শিক্ষাক্ষেত্রে সমতা ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে।