বাংলাদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি নতুন আদেশ জারি করা হয়েছে। এই নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগের চেয়ে দ্বিগুণ। এ নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা উৎসব ভাতা হিসেবে তাদের মূল বেতনের অর্ধেক পাবেন, যা একটি স্বস্তির খবর হিসেবে গণ্য হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন আদেশে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতার হার বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসা, যিনি অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের দায়িত্বে আছেন। এই আদেশের ফলে শিক্ষকরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাবেন, যা আগে ছিল ২৫ শতাংশ। তবে, এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতার হার অপরিবর্তিত রয়েছে এবং তারা পূর্বের হারে অর্থাৎ ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাবেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক এবং কর্মচারীদের একাধিক দাবি ছিল, যা একটি ঐতিহাসিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে সামনে আসে। গত মার্চে, তখনকার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য উৎসব ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন, যা শিক্ষকদের জন্য একটি বড় আশার সংবাদ ছিল। তবে, শিক্ষক-কর্মচারী উভয়ের জন্য উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদিত হলেও, কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর বিষয়টি এখনও পরিস্কারভাবে নিষ্পত্তি হয়নি। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বাড়াতে ২২৯ কোটি টাকা পুনঃউপযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে, এবং অর্থ বিভাগ ৭ মে তার সম্মতি দিয়েছে। তবে, আগের দিকে স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে, কিন্তু কর্মচারীদের বিষয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলে জানা গেছে। বর্তমানে, বাংলাদেশে প্রায় ২৯ হাজার ১৬৪টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ লাখ। এমপিওভুক্ত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর মাধ্যমে তাদের আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হবে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে আরও মাইলফলক অর্জিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি নিশ্চিত যে, এ সিদ্ধান্তটি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বড় একটি স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে, এবং সরকারের এই উদ্যোগ থেকে শিক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে।