উচ্চ আদালতের নির্দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিতে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তাদের আজ রোববার থেকে নিজ নিজ পদে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, ১ জুন থেকে তারা কাজে যোগ দেবেন। ২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। এরপর থেকে তারা চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন। সম্প্রতি, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তাদের চাকরি পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। চাকরিচ্যুত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে চাকরি ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের পাশে দাঁড়ায় এবং চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেয়। ২০০৩ ও ২০০৪ সালে বিভিন্ন স্মারকের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ ২০১১ সালে কিছু অসাধু কর্মকতা ও কর্মচারীর ষড়যন্ত্রমূলক ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপনের কারণে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়, যা ছিল চাকরিবিধি বহির্ভূত এবং অনৈতিক। এর আগে সাবেক এমপি ফজলে রাব্বী মিয়া হাইকোর্টে রিট করেন, যার মাধ্যমে চাকরিচ্যুতির আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে ২০০৬ সালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দেয়। পরবর্তীতে গাজীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আকম মোজাম্মেল হক ২০১০ সালে রিভিউ মামলা করলে আদালত কর্মচারীদের চাকরি থেকে অপসারণের রায় দেন।