ইরানের কট্টরপন্থী আইনপ্রণেতা ইসমাইল কোসারি সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, হরমুজ প্রণালীর বিষয়ে সামরিক ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এই প্রণালীর বন্ধ করার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং বিষয়টি পর্যালোচনাধীন রয়েছে। সোমবার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
হরমুজ প্রণালি, যা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন রুট, সেখানে ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে প্রতিদিন প্রায় দুই কোটি ব্যারেল তেল পরিবহন করা হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) অনুমান করেছে। এই প্রণালীর মাধ্যমে প্রতি বছর সমুদ্রপথে পরিবহন করা হয় প্রায় ৬০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের জ্বালানি, যা বৈশ্বিক জ্বালানি বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে তা বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে দেরি সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এর তাৎক্ষণিক প্রভাব তেলের দামের ওপর পড়বে, যা বিশ্ব বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ, যারা উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে তেল আমদানির ওপর নির্ভরশীল, তারা এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হরমুজ প্রণালীর নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এই প্রণালীর পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।
ইরানের সামরিক প্রস্তুতি এবং হরমুজ প্রণালীর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন এই অঞ্চলের পরিস্থিতির দিকে। বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল পক্ষের মধ্যে সংলাপ এবং সহযোগিতা অপরিহার্য।