রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করার পর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুল ভবনে আছড়ে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এতে ২০ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুলের শিক্ষার্থী। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বিমানটির পাইলটও রয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় স্কুলে ক্লাস চলছিল এবং ভবনের বিভিন্ন তলায় শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড শব্দ ও আগুনের কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে এবং দ্রুত তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় আগামীকাল মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন করবে। এছাড়া, নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য ঢাকাসহ সারাদেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিএনপি মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। এই দুর্ঘটনা জাতিকে শোকাহত করেছে এবং দেশের সামরিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার নিরাপত্তা ও প্রস্তুতির ওপর নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। জাতি শোক ও প্রার্থনার মাধ্যমে এই কঠিন সময়ে একত্রিত হয়েছে, আহত ও নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে