জোরালো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যথেষ্ট আসনসংখ্যার অভাবে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস স্থগিত হওয়ার পর তারা প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছিলেন। এই অবস্থানের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দও। সেখানে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাস্তার ওপরই নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নতুন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়ার আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা একযোগে দাবি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্প (ডিপিপি) দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হোক। নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই এই অভিজ্ঞতাকে মিশ্র অনুভূতির সঙ্গে গ্রহণ করেছেন। এক শিক্ষার্থী জানান, এ ঘটনা আনন্দের হলেও তা তাদের হতাশাও করে, কারণ একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকলে হয়তো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেই হতো না। তবে তারা গর্বিত যে তাদের শিক্ষাজীবনের শুরুতেই এমন আন্দোলনের অংশ হতে পেরেছেন এবং আশাবাদী সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নজরুল ইসলামও এ বিষয়ে বলেন, অস্থায়ী অডিটোরিয়ামের সীমিত আসনের কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত ডিপিপি অনুমোদনের জন্য সরকার থেকে সুনজর কামনা করেছেন। প্রতিষ্ঠার নয় বছর পেরিয়ে গেলেও ডিপিপি অনুমোদনের অনিশ্চয়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে তাদের দাবি জানিয়ে আসছেন। গত ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মাধ্যমে এই আন্দোলন আরও জোরালো হয়েছে। অনেকবার পরিবর্তনের পরও মাত্র ৫ শত ১৯ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার বরাদ্দ কেন দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে শিক্ষাজীবন ও স্থানীয় জনজীবনে এক গভীর হতাশার ছায়া নেমে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য এই স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন সময়ের দাবি।