গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে যাত্রা করা ‘গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলা’ আটকানোর ঘটনায় ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের ঢেউ। স্পেন, যুক্তরাজ্য ও ইতালিসহ একাধিক দেশের বড় শহরগুলোতে রাস্তায় নেমে এসেছে হাজারো মানুষ। ফিলিস্তিনপন্থি এসব বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলেছেন, অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিতের আহ্বান জানান। স্পেনের বার্সেলোনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে দোকানপাট ও রেস্তোরাঁর জানালায় ভাঙচুর চালান, দেয়ালে ইসরায়েলবিরোধী নানা স্লোগান লিখে দেন। লন্ডনে সংসদ ভবন থেকে ডাউনিং স্ট্রিট পর্যন্ত বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিশুদের ছবি বহন করে মানবিক সহানুভূতির আহ্বান জানান। ইতালির মিলানের স্টাতালে ও রোমের লা সাপিয়েঞ্জার মতো বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এবং বিভিন্ন সড়ক বিক্ষোভকারীদের দখলে চলে যায়। বলোনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ির টায়ার ফেলে তৈরি হয় সড়ক অবরোধ। এসব বিক্ষোভের কিছু অংশে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, কোথাও কোথাও বিক্ষোভকারীরা বেশ উগ্র আচরণ করেছেন। ইতালির রাজধানী রোমেও চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্টসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার পেশাজীবী মানুষ প্রতিবাদে অংশ নেন। স্পেনের বিভিন্ন শহরে হাজারো শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিতের দাবি তোলেন। বিক্ষোভের এই উত্তাল পরিস্থিতি নিয়ে ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইডো ক্রোসেটো সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এরকম সহিংস বিক্ষোভ বা অবরোধ আসলেই ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য কোনো উপকার বয়ে আনবে কি না। গাজা উপত্যকার চলমান সংকটকে কেন্দ্র করে ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই বিক্ষোভ স্পষ্টতই ইসরায়েলি নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমতের বহিঃপ্রকাশ হলেও, কোথাও কোথাও তা সহিংসতায় রূপ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগও তৈরি করেছে।