জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে বিভাজন সৃষ্টি এবং ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে। এনসিপি এই ধরনের কার্যকলাপকে দেশের জন্য অশুভ সংকেত হিসেবে দেখছে। গত রোববার এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের বক্তব্যকে লক্ষ্য করে জামায়াতের একটি বিবৃতি নিয়ে এনসিপি কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে সোমবার প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই দাবি ‘অসত্য, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর’ বলে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান ও তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এনসিপি বিবৃতিতে উল্লেখ করে, জামায়াতের বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং জনমত বিভ্রান্ত করার স্পষ্ট চেষ্টা। এনসিপি আরও উল্লেখ করেছে, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তে জামায়াত পুরোনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে ‘নতুন খেলোয়াড়’ হিসেবে আবির্ভূত হতে চাচ্ছে, যা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে আখতার হোসেনের দেয়া প্রমাণনির্ভর বক্তব্যের পক্ষে এনসিপি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। তারা বলেছে, পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী সংঘর্ষে অস্ত্রসহ জামায়াতে ইসলামী কর্মী তুষার মণ্ডলের গ্রেপ্তারি প্রমাণ দেয় যে সহিংসতার পেছনে জামায়াতের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই বাস্তবতা অস্বীকার করা দায় এড়ানোর অপচেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। এনসিপি দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়ে, জামায়াতকে সত্য, শান্তি এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।