বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় যা বললো ভারত সরকার সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র সম্ভাবনা: ২৩ থেকে ২৮ মে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রোডম্যাপ না আসায় ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ঘোষণা !! আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানাল সরকার সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের সঙ্গে আরও দেশ ছাড়লেন যারা **রোহিঙ্গা সংকট: ভারত থেকে পুশ-ইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খলিলুর রহমান** পবিত্র ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব **ঢাকায় খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন: বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি** কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগ

বিতাড়িত রাজনৈতিক পরিবারটি আবারো ক্ষমতায় ফেরার কৌশল আঁটছে

bornomalanews
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১০৬ Time View

উচ্ছ্বসিত যুবকরা একটি পুলের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস করছে। কেউ একজন গায়ে সাবান মেখে মেতে উঠেছেন উচ্ছ্বাসে। শ্রীলঙ্কানরা সুসজ্জিত হলের মধ্যে নাচছে, সেখানে কেউ ব্যান্ড বাজাচ্ছে, কেউ নাচছে ভেঁপুর সুরে সুরে।

২০২২ সালের ১৩ জুলাইয়ের এই দৃশ্যগুলো সারা বিশ্বে এই ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল। যখন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ দখল করেছিল। রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসাকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল।

এটা ছিল শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের জন্য বিজয়ের মুহূর্ত।

এর আগে আন্দোলনে শ্রীলঙ্কা জুড়ে কয়েক লাখ মানুষ সরকার ঘোষিত কারফিউ অমান্য করেছিল। টিয়ার গ্যাস, জল কামান উপেক্ষা করে তারা শান্তিপূর্ণভাবে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল।

মি. রাজাপাকসা আন্দোলনের সময় কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলনকারীদের পদত্যাগের আহবানকে উপেক্ষা করেছিলেন। যদিও জনগণের ক্ষোভ কমাতে তার বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসা আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন।

কয়েক মাস ধরে চলা এই বিক্ষোভকে সিংহলী ভাষায় বলা হয় ‘আরাগালয়’। যার অর্থ সংগ্রাম। এই আন্দোলন জুলাইয়ে চূড়ান্ত পরিণতি পায়, তীব্র আন্দোলনের মুখে গোটাভায়া রাজাপাকসার দ্রুত ও অপমানজনক পতন হয়েছিল।

অথচ, মাত্র কয়েক মাস আগেও এমন ঘটনা ছিল কল্পনাতীত।

বছরের পর বছর ধরে রাজাপাকসা পরিবার মাহিন্দা রাজাপাকসা নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ছিল।

প্রথম মেয়াদে মাহিন্দা রাজাপাকসা তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের রক্তাক্ত সমাপ্তির নেতৃত্ব দেন। এই বিজয়ের পর দ্বীপরাষ্ট্রটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলী তাকে দেশের ত্রাণকর্তা ভাবা শুরু করে।

পরে তিনি ক্ষমতাবান হতে লাগলেন সেই সাথে তার পরিবারও। তিনি তার ছোট ভাই গোটাবায়াকে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। এই পদে বসে তিনি নানা নির্মম কাজ করেছিলেন বলে সমালোচনা রয়েছে।

তার অন্য দুই ভাই বাসিল এবং চামাল ছিলেন যথাক্রমে অর্থমন্ত্রী এবং সংসদীয় স্পিকারের দায়িত্বে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102