বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মৃত্যু হয়েছিল ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর। অমানবিকভাবে তাকে পিটিয়ে মারা হয়। যে ঘটনা দেশব্যাপী বিরাট চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। সেই আবরারকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রুম নম্বর ২০১১’। এটি নির্মাণ করছেন শেখ জিসান আহমেদ।
এরইমধ্যে চলচ্চিত্রটির পোস্টারও প্রকাশিত হয়েছে। জিসু এন্টারটেইনমেন্ট এর ফেসবুকে সোমবার বিকেলে প্রকাশিত পোস্টারটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সূত্র ধরেই কথা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও তরুণ নির্মাতা জিসান আহমেদের সঙ্গে।
চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি জানান, তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জিসু এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে প্রায়শই নানা ধরনের কন্টেন্ট নির্মাণ করা হয়। বিশেষত হলিউড বলিউড সিনেমার জনপ্রিয় দৃশ্যের রিমেক করে থাকেন। তার পেজ ঘুরে দেখা গেছে- হিন্দি পিকে, থ্রি ইডিয়টস কিংবা দেশী মনপুরার জনপ্রিয় দৃশ্য হুবুহু নির্মাণ করতে! যেগুলো মানুষ পছন্দও করছেন!
জিসান জানান, এবারই প্রথম ‘রুম নম্বর ২০১১’ এর মধ্য দিয়ে কোনো মৌলিক কাজের উদ্যোগ নিয়েছি। এসময় তিনি শর্টফিল্মটি যে আবরার ফাহাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে, সে বিষয়টিও স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে জিসান বলেন, হ্যাঁ, সিনেমাটি আবরার ফরহাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই। আমরা তার পরিবারের সাথে কথা বলেছি। তাদের অনুমতি নিয়েই কাজটি করেছি। আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ, সেও আমাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন। এমনকি আবরারের যে রুমমেট ছিলো বুয়েটের, তাদের সাথেও কথা বলেছি।
‘রুম নম্বর ২০১১’ এর চিত্রনাট্য তৈরীতে আবরারের পরিবার, বন্ধুবান্ধব ছাড়াও হত্যাকাণ্ড নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং আসামীদের জবানবন্দিও আমলে নেয়া হয়েছে বলে জানান জিসান। শর্টফিল্মটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২৫ মিনিট! কাহিনী প্রসঙ্গে নির্মাতা জানান, এখানে অতিরঞ্জিত কিছু থাকবে না।
জিসান বলেন, এরইমধ্যে সিনেমাটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। এখন পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। আগামি ৭ অক্টোবর আবরারের মৃত্যুবার্ষিকী। অনেক সংবাদেই দেখলাম ৭ অক্টোবর সিনেমাটির মুক্তির কথা লিখেছে, আসলে তা নয়। আমরা আবরারের মৃত্যু বার্ষিকী কেন্দ্র করে সিনেমাটি মুক্তি দিতে চাই। সে লক্ষ্যে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ এগিয়ে চলছে। আমরা সিনেমাটির মুক্তির তারিখ নিশ্চিত করিনি। তবে আবরারের মৃত্যুবার্ষিকী সামনে রেখে দর্শক সিনেমাটি দেখতে পারেন। সেটা ৫,৬ বা ৭ অক্টোবরেই হতে পারে।
সিনেমাটি জিসু এন্টারটেনমেন্টের ইউটিউব, সোশাল প্লাটফর্মসহ আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি থিয়েটারেও দেখানোর কথা চলছে বলেও জানান জিসান।
সিনেমার অর্থায়ন নিয়ে এই তরুণ জানান, জিরো বাজেটে কাজটি করেছি। আমরা যখন কাজটি শুরু করি তখন প্রডিউসার ছিলো না। নিজেরাই যেভাবে শ্রম দিয়ে পেরেছি, কাজটি শেষ করেছি। শুটিং সম্পন্ন হওয়ার পর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলি। এরমধ্যে আমাদের পাশে ‘একটিফুল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড়ায়। এটি আমেরিকায় পরিচালিত বাংলাদেশি একটি সংগঠন।